কানাডা ছাড়ছেন রেকর্ড সংখ্যক অধিবাসী

টরেন্টোতে অভিবাসীরা। ছবি: সমকাল
আহসান রাজীব বুলবুল, কানাডা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ১৫:৩৮
দিন দিন অভিবাসীদের মধ্যে কানাডা থেকে চলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। যদিও দেশটি অভিবাসী নির্ভর। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সম্প্রতি রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী দেশটি ছেড়ে চলে গেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশিরাও রয়েছেন।
ইনস্টিটিউট ফর কানাডিয়ান সিটিজেনশিপ এবং কানাডার কনফারেন্স বোর্ডের পরিচালিত সমীক্ষা বলছে, কানাডা ছেড়ে যাওয়া অভিবাসীদের সংখ্যা গত কয়েক দশক ধরে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গড়ে দশমিক ৯ শতাংশ লোক দেশটি ছেড়ে যাচ্ছেন। ১৯৮২ সাল বা তার পর দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তারা কানাডা ছাড়ছেন। ২০১৯ সালে তা বেড়ে এক দশমিক ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতিকে উন্নত করার উপায় হিসেবে নতুনদের ধরে রাখা এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণ না করার সম্ভাব্য পরিণতিগুলোর ওপর সরকারের জোর দেওয়া প্রয়োজন।
কানাডিয়ান সিটিজেনশিপের ইনস্টিটিউটের সিইও ড্যানিয়েল বার্নহার্ড বলেছেন, কানাডা আবাসন এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ঘাটতি পূরণের জন্য অভিবাসী নেয়। এজন্য অভিবাসীদের ধরে রাখার বিষয়টি দেশটির জাতীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠছে।
সমীক্ষা অনুযায়ী, কানাডায় আসার চার থেকে সাত বছরের মধ্যে অগ্রবর্তী অভিবাসনের ঝুঁকি বিশেষভাবে বেশি। অভিবাসীদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা ১৯৯০-এর দশক থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সমীক্ষায় বলা হয়।
কানাডার নতুন দেশ পত্রিকার সম্পাদক শওগাত আলী সাগর সমকালকে বলেন, জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি, চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ছাড়াও থাকা-খাওয়া নিয়ে সংকট কানাডা থেকে চলে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল্লা রফিক বলেন, অনেক প্রফেশনাল তাদের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে অন্য দেশে তুলনামূলক ভালো বেতন নিয়ে চলে যাওয়ায় এ সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে।
কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট এবং প্যারালিগ্যাল রোজিনা মিনা বলেন, সাধারণত অতিরিক্ত শীতের কারণে মধ্যবয়সী ও বৃদ্ধ নাগরিকরা নিজ দেশে চলে যান। আবার গ্রীষ্মে ফেরত আসেন, অনেকেই আবার স্থায়ীভাবে নিজ দেশে বসবাস করেন। এর ফলে এ সমস্যা হয়েছে।