কানাডায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় আমন্ত্রিতরা। ছবি-সমকাল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩ | ০৬:৩৬ | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯:১৭
বিএনপির অটোয়া শাখার উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে অটোয়ার সেইন্ট লরেন্ট কমপ্লেক্সে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অটোয়া বিএনপির সমন্বয়ক মো. মঞ্জুর মোরশেদের সভাপতিত্বে এবং সহসমন্বয়ক এস এম হুমায়ুন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও অটোয়া বিএনপির উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবিতা নূর ও মিজানুর রহমান। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এস এম হুমায়ুন পাটোয়ারী। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন- সহসমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান লিটন, উপদেষ্টা জুলফিকার রহমান ফুলু, মো. আনোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আহমেদুল কবির পলাশ, মজিবুল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আশরাফ উদ্দিন বলেন, 'বিপ্লব ও সংহতির মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষমতা গ্রহণ করে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের গোড়াপত্তন করেন। বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সার্ক গঠন, ওআইসিতে ভূমিকার মাধ্যমে বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নয়নে তার অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। বিপ্লবী চেতনা বুকে ধারণ করে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।'
বিশেষ অতিথি কবিতা নূর তার বক্তব্যে গ্রাম সরকার প্রবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি অটোয়া বিএনপি'র অতীত কার্যক্রমে সাবেক সভাপতি ফারুক আনোয়ার মিন্টুর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
এস এম হুমায়ুন পাটোয়ারী বলেন, '১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস ব্যর্থ হলে বিএনপির জন্ম হতো না, আর বিএনপির জন্ম না হলে বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতো।'
বিশেষ বক্তা সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আওয়ামী লীগের ইতিহাসে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের রেকর্ড নেই। ১৯৭৩ সনের নির্বাচনে হেলিকপ্টারে ব্যালট বাক্স ঢাকায় এনে তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে। অবৈধ সরকারের পাতানো নির্বাচন প্রতিহত করতে না পারলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে না।'
সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর মোরশেদ বলেন, 'সিপাহী-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।'