টরন্টোয় শোয়েবের গজল ও বাবুর কবিতার মোহময়তা
টরন্টোর চাইনিজ কালচারাল সেন্টারে মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছবি: সমকাল
আহসান রাজীব বুলবুল, কানাডা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৪:৫৩
গান আর কবিতা হাত ধরাধরি করে চলতে পারে। কিন্তু কবিতা আর গজলের যুগলবন্দিও যে দর্শক শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে আটকে রাখতে পারে- তারই নিদর্শন দেখা গেল শোয়েব-বাবুর এক পরিবেশনায়।
গত ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহরের ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে শিল্পী শোয়েব মোর্তোজার গজল আর শিল্পী দিলারা নাহার বাবুর আবৃত্তি দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে টরন্টোর চাইনিজ কালচারাল সেন্টারে মিলনায়তন মোহময় করে রাখে।
আয়োজক টরন্টোর অন্যতম ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান জেবিআর ইভেন্টসের জুলিয়ানা রিনি ডি ক্রুজের ভূমিকার পরই মঞ্চের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন শোয়েব মোর্তোজা আর দিলারা নাহার বাবু।
কবিতা-গজল, গজল আর কবিতা, মাঝে মধ্যে দুই শিল্পীর টুকরো টুকরো কথামালা পুরো আয়োজনকে যেনো ভিন্নরকম ব্যঞ্জণা দেয়। অবশ্য মুনিমা শারমিন সঞ্চালনার পোশাকি নাম নিয়ে কথার মালা আর খণ্ড খণ্ড আবৃত্তি দিয়ে পুরো আয়োজনে বাড়তি অলংকারের প্রলেপ মাখিয়ে দেন।
বাবু-শোয়েবের পরিবেশনার সময় মঞ্চের পেছনের পর্দায় নানা ছবির প্রক্ষেপণ ধ্বনিত কবিতার গল্পগুলোকে আরও মূর্তমান করে তুলে। বাবুর কবিতার সঙ্গে তাপস দেব ও প্রিয়াংকা বড়ুয়ার অসাধারণ নৃত্য পরিবেশনাকে মোহাচ্ছন্ন করে তুলে।
শোয়েব- বাবুর এই যুগলবন্দিতে যন্ত্রাংশে সঙ্গী হয়েছিলেন- এজরাসে-রতন সিং, কি-বোর্ডে জন মার্টিন, গিটারে জয় সরকার ও তবলায় ডেরিক জাইকারান।
শোয়েব-বাবুর পরিবেশনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে টরন্টোর দেশে বিদেশে পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নজরুল মিন্টো বলেন, আবৃত্তি শিল্পী দিলারা নাহার বাবুর উচ্চারণ শৈলী, কণ্ঠের কারুকাজ, আবেগের ওঠানামায় মুগ্ধতায় ডুবে ছিলাম দুই ঘণ্টারও বেশি সময়। কবি দেলোয়ার এলাহীর প্রতিক্রিয়ায় জানান, দর্শকদের মনোযোগকে নিবিষ্ট করে তুলেছে তাদের পরিবেশনা।