কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন করা হয়েছে। সোমবার দিনের শুরুতে মিশন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন হাইকমিশনার তারেক মোহাম্মদ।

এরপর মিশনে স্থাপিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। শেষে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মিশনে স্থাপিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হাইকমিশনার তারেক মোহাম্মদ

সন্ধ্যায় মিশনে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশি-বিদেশি ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্যে হাইকমিশনার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সোমবার সন্ধ্যায় মিশনে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার অবদান আর শহীদ ভাষা সৈনিকদের আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে তিনি বাংলাসহ অন্যান্য মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে বলেন।

২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনে অসামান্য অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান হাইকমিশনার। বাংলাদেশ ও কেনিয়ার অধিকতর সাংস্কৃতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে আগামীতে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যৌথ অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এছাড়া মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর দেশি-বিদেশি শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা এবং প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে দেশজ সংস্কৃতির এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি