- প্রবাস
- অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, ছিলেন না অ্যানেসথেসিওলজিস্ট
অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, ছিলেন না অ্যানেসথেসিওলজিস্ট

নওগাঁর মান্দায় ভুল চিকিৎসায় আকলিমা বেগম (৩০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার প্রসাদপুর বাজারে ফয়সাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘঠেছে।
নিহত আকলিমা উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের জোতবাজার এলাকার আব্দুল মান্নান ওরফে মান্নুর স্ত্রী। এই ঘটনায় রোববার দুপুরে মান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মৃতের স্বামী আব্দুল মান্নান।
আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ইতোপূর্বে পর পর দুবার সিজারিয়ানের মাধ্যমে আকলিমা বেগমের সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে। তৃতীয় সন্তানের ভূমিষ্ঠ হওয়ার জন্য শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ফয়সাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তাকে ভর্তি করা হয়।’
‘দুপুর আড়াইটার দিকে অপারেশনের মাধ্যমে এক কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। সিজার অপারেশন করার পর প্রসূতির রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। ক্রমেই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ক্লিনিকের লোকজনও রোগীর কোনো চিকিৎসা না করেই তাকে রামেক হাসপাতালে রেফার করে।’
‘বিকেল ৫টার দিকে মাইক্রোবাসে করে প্রসূতিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আকলিমা মারা যান। চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়’ বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মৃত প্রসূতির ভাতিজা মাহাবুব রহমান সুমন অভিযোগ করে বলেন, অপারেশনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও অ্যানেসথেসিওলজিস্ট (অবেদনবিদ) ছাড়াই ক্লিনিক মালিক জিয়াউর রহমান জিয়া ডাক্তার না হয়েও নিজেই অপারেশন করেন। এতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনায় ক্লিনিক মালিক জিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
ক্লিনিক মালিক জিয়াউর রহমান জিয়া অপারেশনের সময় অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ছিল না বলে স্বীকার করে বলেন, এসএম হাবিবুল হাসান নামে এক ডাক্তারকে দিয়ে আকলিমা বেগমের অপারেশন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অপারেশনে অংশ নেওয়া চিকিৎসক এসএম হাবিবুল হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বিজয় কুমার রায় বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে একজন অফিসার পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন