ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন থেকে টোল আদায় করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য টোলের পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। 

বুধবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব (টোল ও এক্সেল লোড) ফাহমিদা হক খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আরোপের বিষয়টি জানানো হয়।

এর ফলে আগামী ১ জুলাই থেকে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য যানবাহনকে থেকে টোল দিতে হবে। অর্ন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য সর্বনিম্ন ৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬৯০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (এন-৮ এক্সপ্রেসওয়ে) অর্ন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য অনুমোদিত যানবাহনের শ্রেণি এবং টোল হার নির্ধারণ করা হলো। নির্ধারিত হার অনুযায়ী, ৫৫ কিলোমিটারের ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পুরোটা রাস্তা পাড়ি দিতে হলে মোটরসাইকেলকে ৩০ টাকা টোল দিতে হবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পুনঃনির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে সিডান কারকে ১৪০ টাকা, ফোর চাকা চালিত যানবাহন ও মাইক্রোবাসকে ২২০ টাকা, মিনিবাস/কোষ্টারকে ২৭৫ টাকা, মিনি ট্রাক ৪১৫ টাকা, বড় বাস ৪৯৫ টাকা, মাঝারি ট্রাক ৫৫০ টাকা, ভারী ট্রাক ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ট্রেইলারকে ১ হাজার ৬৯০ টাকা টোল দিতে হবে।

এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রীবাড়ি-মাওয়া অংশে কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাপুর, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক্সিট এন্ট্রি পয়েন্ট থাকবে। এই দুই এলাকা দিয়ে যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েতে ঢুকতে ও বের হতে পারবে। এদিকে পদ্মা সেতু ওপারে এক্সিট ও এন্ট্রি ওয়েন্ট থাকবে পুলিয়াবাজার ও মালিগ্রামে। একটি গাড়ি যত কিলোমিটার চলবে- সেই হিসেবে টোল দিতে হবে।

এক্সপ্রেসওয়ে থেকে টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) ৭১৫ কোটি টাকায় অপারেটর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তারা ১ জুলাই টোল আদায় করবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ম্যানুয়ালি টোল আদায় করা হবে। অটোমেশনে মাস তিনেক সময় লাগতে পারে।

বর্তমানে পোস্তাগোলা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ সেতুতে টোল দিতে হয়। ১ জুলাই থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হলে এসব সেতুতে আর টোল দিতে হবে না।