- প্রবাস
- পর্তুগালে বাংলাদেশের স্থায়ী দূতাবাস ভবন উদ্বোধন
পর্তুগালে বাংলাদেশের স্থায়ী দূতাবাস ভবন উদ্বোধন

লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী নতুন চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধন করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন
পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী নতুন চ্যান্সারি ভবনের উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার এ উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব রাষ্ট্রদূত আলভারো মেন্ডোনসা ই মৌরা।
উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন ও ফিতা কাটার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী চ্যান্সারি ভবনের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা, পর্তুগিজ অতিথিসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, স্থায়ী চ্যান্সারি বিল্ডিং একটি দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। কারণ আমাদের দূতাবাসের কাজের চাপ বহুগুণ বেড়েছে। অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং জনসাধারণের জন্য কনস্যুলার বিষয়ে কার্যক্রম বৃদ্ধিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি মনে করেন, নতুন চ্যান্সারি ভবন বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন জোরদার করতে বড় ভূমিকা রাখবে। তিনি লিসবনে স্থায়ী চ্যান্সারি ভবন এবং রাষ্ট্রদূতের স্থায়ী বাসভবন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত আলভারো মেন্ডোনসা ই মৌরা তার বক্তব্যে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকার এবং পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসীদের অভিনন্দন জানান। লিসবনে স্থায়ী চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার বক্তব্যে বলেন, চ্যান্সারি বিল্ডিংটি আমরা যে গত বছর স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপন করেছি, তারই একটি রূপান্তরের প্রতীক এবং এটি জাতীয় উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষার মান অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদচিহ্ন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, এই স্থাপনাটি কেবল একটি ভবন নয়, এটি পর্তুগালে আমাদের বন্ধুদের কাছে আমাদের বার্তা বহন করে। আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাসকে মূল্য দিই।
অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণকারীরা বিশেষ দিনে তাদের অনুভূতি ভাগাভাগি করতে চ্যান্সারি মিলনায়তনে একত্রিত হন। পর্তুগালে বাংলাদেশের মালিকানাধীন দূতাবাস থাকায় প্রবাসীরা আনন্দ প্রকাশ করেন। পর্তুগিজ অতিথিরা লিসবনে বাংলাদেশের স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানান।
মন্তব্য করুন