ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

জিয়ার মরণোত্তর বিচার ও কবর সরানোর দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন

জিয়ার মরণোত্তর বিচার ও কবর সরানোর দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন

চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২ | ০০:০৮ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২২ | ০০:১৯

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দায়ে মেজর জিয়ার মরণোত্তর বিচার ও চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে তার কবর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন ১ আগস্ট বিকেল ৪টায় চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ হাওলাদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মিলন ঢালী। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সহ-সভাপতি শাহীন সিকদার প্রমুখ। 

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত মেজর জিয়ার মরণোত্তর বিচার করতে হবে। চন্দ্রিমা উদ্যানে নিয়মবহির্ভূতভাবে রাখা তার কবর সরিয়ে নিতে হবে। কারণ জিয়ার কবর চন্দ্রিমা উদ্যানে নেই। তার দেহরক্ষীর মরদেহ এখানে এনে দাফন করা হয়েছিল। জিয়ার মরদেহ পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ের পাদদেশে দাফন করা হয়েছিল। 

বক্তারা বলেন, লুই আই কানের মূল নকশা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ ভবনের নকশা বাস্তবায়ন করতে হবে। মূল নকশা ভঙ্গ করে কবর এখানে রাখা হয়েছে যা দেশের প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। শোকাবহ আগস্ট মাসের মধ্যেই কবর সরিয়ে ফেলে জনগণের দাবি পূরণ করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাহাত্তরের সংবিধান ধ্বংসকারী জিয়ার নামে স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো স্থাপনা থাকতে পারে না। 

বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত বানিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। জিয়া ও খালেদা জিয়া রাজাকার-আলবদরদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল। বিএনপি এখন স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের মতো বিএনপির রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল করে তাদের অপরাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

আরও পড়ুন

×