ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

২ রোহিঙ্গা নেতা হত্যার ঘটনায় ৫ জনের নামে রাতে মামলা, ভোরে গ্রেপ্তার ৩

২ রোহিঙ্গা নেতা হত্যার ঘটনায় ৫ জনের নামে রাতে মামলা, ভোরে গ্রেপ্তার ৩

গ্রেপ্তার ৩ আসামি।

কক্সবাজার ও টেকনাফ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২২ | ২৩:৫৮ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২২ | ২৩:৫৮

কক্সবাজারে উখিয়ার বালুখালির জামতলী রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার ঘটনায় উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহত আবু তালেবের স্ত্রী তৈয়বা খাতুন (৩০)।

বুধবার রাত ১টায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে সাত থেকে আটজনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত তিন আসামীকে বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন। 

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, জামতলি এফডিএমএন ক্যাম্প-১৫ এর সি ব্লকের হেড মাঝি (ব্লকের নেতা) আবু তালেব (৫০) এবং সাবমাঝি সৈয়দ হোসেন (৪৩) নিহত হওয়ার ঘটনায় বাদীর দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। 

এজাহারনামীয় আসামীরা হলেন— জাফর আলমের ছেলে মাহামুদুল হাসান (২৭),  মৃত সোনা আলীর ছেলে সাহ মিয়া (৩২) ও তার ভাই  আবুল কালাম ওরফে জাহিদ আলম (২৫), মৃত রশিদ আহম্মেদের ছেলে জাফর আলম (৫৪) ও তার ছেলে মো. সোয়াইব।

এরা সবাই জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করে। 

পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ডাবল মার্ডারের সঙ্গে আবুল কাশেমের ছেলে সাবমাঝি রেজাউল আলম (৪২), জাফর হোসেনের ছেলে সাবমাঝি মো. ইয়াছিন এবং ইসমাঈলের ছেলে (ভলান্টিয়ার) নুর মোহাম্মদ (৩২) জড়িত থাকার সন্দেহ রয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, গুলিবিদ্ধ আবু তালেব মৃত্যুর পূর্বে মাহমুদ হাসান ও জাফর আলমসহ আরও কয়েকজন মিলে তাদের গুলি করেছে মর্মে নাম বলে গেছেন। 

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ শিহাব কায়সার বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এরই মধ্যে রোহিঙ্গা শিবিরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো- সাহ মিয়া (৩২), মো. সোয়াইব ( ১৯) ও জাফর আলম (৫৪)।  তিনজনই হত্যার ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ক্যাম্পে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×