- প্রবাস
- পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিজয় দিবস উদযাপন
পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিজয় দিবস উদযাপন

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান। ছবি-সংগৃহীত
পর্তুগালে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা মহান বিজয় দিবসের দিনটিকে নানা আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপন করেছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে। এই দিনটি ঘিরে দূতাবাসে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন।
সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উদযাপনের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ, প্রবাসী বাংলাদেশি নেতারা, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ রঙিন পোশাক পরিধান করে এতে অংশগ্রহণ করেন। দূতাবাসে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সিরামিক ম্যুরালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তাঁর সমাপনী বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, বীরাঙ্গনা এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সামন্তবাদী ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিত্যাগ করে একটি আধুনিক, জনমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই বিজয়ের সব চেয়ে মৌলিক আর গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।
পরিশেষে, রাষ্ট্রদূত শান্তি আর উন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সমগ্র দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হবার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচনা পর্বের শেষে দূতাবাসে প্রবাসী শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথমেই সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের 'আমার পরিচয়' কবিতার সঙ্গে একটি মনোমুগ্ধকর নৃত্যালেখ্য পরিবেশিত হয়। পরবর্তীতে 'পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে' এবং 'ও পৃথিবী এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে' গানের সঙ্গে বাংলাদেশী নৃত্য শিল্পীদের উপস্থাপনা দর্শকদের বিমোহিত করে। এছাড়াও, কবি সিকান্দার আবু জাফররের লেখা 'বাংলা ছাড়ো' কবিতাটির পরিবেশনা দর্শকের মাঝে মুক্তি সংগ্রামের আবহ সৃষ্টি করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের উপর নির্মিত প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়।
পরিশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে দেশীয় খাবারের মাধ্যমে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়িত করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
মন্তব্য করুন