ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

কানাডায় বিদেশিদের বাড়ি কেনায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল

কানাডায় বিদেশিদের বাড়ি কেনায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল

.

আহসান রাজীব বুলবুল, কানাডা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১০:৩৫ | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১১:১৫

কানাডায় বাড়ির দাম এবং বাড়ি ভাড়া দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেই সাথে জীবনযাত্রার ব্যয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে বিদেশিদের বাড়ি তথা আবাসিক স্থাপনার মালিকানা কেনার ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও দুই বছরের জন্য বাড়ানো হচ্ছে। আবাসন সংকটে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বাড়িঘর সহজলভ্য করতে এবং বাড়ির আকাশছোঁয়া দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে আনতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে কানাডায় বিদেশিদের বাড়ি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। সর্বশেষ পদক্ষেপে সেই নিষেধাজ্ঞাই আরও দুই বছরের জন্য বাড়ানো হবে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডিয়ান আবাসনে বিদেশি মালিকানার ওপর নিষেধাজ্ঞা রোববার আরও দুই বছরের জন্য বর্ধিতকরণের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। দেশটি বলেছে, দেশজুড়ে নগর ও শহরে হাউজিং মার্কেটে আকাশছোঁয়া দামের বিষয়ে কানাডিয়ানদের উদ্বেগ দূর করার উদ্দেশেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, তীব্র চাহিদার কারণে আবাসন ক্রয়ক্ষমতার সংকটের মুখোমুখি হয়েছে কানাডা। আর এর জন্য অভিবাসী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যার বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয়েছে। মূলত ক্রমবর্ধমান খরচ যেমন বাড়ি নির্মাণকে ধীর করে দিয়েছে ঠিক তেমনিভাবে বাড়ির চাহিদাও অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।

কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কানাডিয়ানদের জন্য আবাসন আরও সাশ্রয়ী করতে কানাডিয়ান আবাসনে বিদেশি মালিকানার ওপর চলমান নিষেধাজ্ঞা, যা ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল তা আগামী ২০২৭ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হবে।’

কানাডিয়ান সরকার বলেছে, দেশজুড়ে বিভিন্ন নগর ও শহরে হাউজিং মার্কেটে আকাশছোঁয়া দামের পাশাপাশি বিদেশি মালিকানার বিষয়টি কানাডিয়ানদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।

এর আগে গত মাসে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসীর আগমন এবং তার জেরে দিন দিন আবাসন সংকট তীব্র হতে থাকায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার।

উল্লেখ্য, অভিবাসনের কারণে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেটির স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো পরিষেবার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে এবং একইসঙ্গে আবাসন খরচ বাড়াতেও সাহায্য করেছে। 

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×