নাসার স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে নাসার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন দল 'সাস্ট অলীক' এবং আরেক চ্যাম্পিয়ন দল 'মহাকাশ'। আগামী ১২ মার্চ রাতে ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন বলে বৃহস্পতিবার বিকেলে সমকালকে নিশ্চিত করেছেন সাস্ট অলীকের সদস্য এসএম রাফি আদনান। এর আগে অর্থ সংগ্রহ করতে না পারায় দুই দলের নাসা যাওয়া অনিশ্চিত ছিল বলে সমকালে তাদের নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। 

রাফি আদনান আরও জানান, আমরা নিজেরা ঋণ করে ১২ মার্চ রাতের টিকিট বুকিং দিয়েছি। আমরা যাচ্ছি এটা নিশ্চিত। এছাড়া আমেরিকায় বাঙ্গালি কমিউনিটি তাদের পক্ষ থেকে আমাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ থেকে দুই দলের আমরা ছয়জন যাচ্ছি। আর বাকি সদস্যরা বিভিন্ন দেশে অবস্থান করায় তারা সেখান থেকে অংশগ্রহণ করবেন।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা-২০১৮-এর বেস্ট ইউস অব ডেটা ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সাস্ট অলীক। এই দলের সদস্যরা হলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থী আবু সাদিক মাহদি, কাজী মইনুল ইসলাম, সাব্বির হাসান, এসএম রাফি আদনান এবং দলের তত্ত্বাবধায়ক কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে ২০২১ সালের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির দল ‘মহাকাশ’। এ দলের সদস্যরা হলেন, শিক্ষার্থী বর্ণিতা বসাক তৃষা, শিশির কৈরী, মমিনুল হক ও সুমিত চন্দ্র।

গত বছরের ২ ডিসেম্বর নাসা থেকে তাদের আমন্ত্রণ জানায়। আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ নাসার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হবে। এর আগে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা-২০১৮’তে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের বছরের ২১ জুন সাস্ট অলীকের প্রত্যেক সদস্যকে ২১-২৩ জুলাই তাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নাসা। আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরে দূতাবাসে ভিসার আবেদন করলে দূতাবাস ভিসা প্রত্যাখ্যান করায় সাস্ট অলীক সে বার নাসার আমন্ত্রণে অংশ নিতে পারেননি।

উল্লেখ্য, নাসার স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন সাস্ট অলীক নাসার তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে ‘লুনার ভিআর’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছিল। অ্যাপটির মাধ্যমে নাসার অ্যাপোলো-১১ অভিযান, মহাকাশ যানটির অবতরণ এলাকা, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা ও চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি আবর্তন করা যায়।