ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ওয়াশিংটন ফোবানা সম্মেলনে আয়োজকদের সংঘর্ষ

ওয়াশিংটন ফোবানা সম্মেলনে আয়োজকদের সংঘর্ষ

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ০০:৫৯ | আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ০০:৫৯

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ফোবানা সম্মেলনে আয়োজকরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলে তাদের মারামারির দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে। 

গত ৪ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় হাতাহাতির সূত্রপাত হয়। ফোবানা সম্মেলনের তিন বছর মেয়াদী স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাহী সম্পাদক কাজী আজম ও ৩৫তম ফোবানা সম্মেলনের আহ্বায়ক শরাফত বাবু তুমুল তর্কে জড়ান। পরে একে অপরকে থাপ্পড় দেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ডিসিসংলগ্ন ভার্জির্নিয়া স্টেটের আলিংটনে সিটির  ‘হিলটন ক্রিস্টাল সিটি’ হোটেলে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

‘সম্মেলনে কিছু সংগঠন এবং মানুষকে কেন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে’- এই প্রশ্ন উত্থাপন করেন নির্বাহী সম্পাদক কাজী আজম। আহ্বায়ক শরাফত বাবু তাদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন কিনা এই প্রশ্নের পরেই তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি এবং মারামারি সংঘটিত হয়। 

ভিডিওতে দেখা যায়, শরাফত বাবু ‘শাটআপ’ ‘শাটআপ’ বলে আজমকে গালি দেন। এর প্রত্যুত্তরে আজম ‘ইউ শাটআপ’ বলে বাবুকেও গালি দেন। শরাফত হোসেন বাবু একপর্যায়ে কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজমকে বাম হাত দিয়ে থাপ্পর মারেন আর আজম ডান দিয়ে বাবুকে থাপ্পর দেন। শুরু হয় মারামারি। আজম সমর্থিত কয়েকজন বাবুকে ধাক্কা দিয়ে মাটিয়ে ফেলে দিয়ে লাথি দেন।  এরপর পুরো মিলনায়তনে বিক্ষিপ্তভাবে গালাগালি,ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। সেখানে উপস্থিত কয়েকজনকে ‘বাবু ভাই, বাবু ভাই, চুপ্ থাকেন প্লিজ’ বলতে শোনা যায়। আসিফ বারী টুটুল বলতে থাকেন, ‘চুপ্ একেবারেই চুপ,প্লিজ।’

আজমের পক্ষ নিয়ে আলী ইমাম শিকদার বাবুর দিকে তেড়ে গিয়ে বলেন, ‘হোয়াট ইট থিংঙ্ক এবাউট, এতবড় সাহস হয়ে গেছে। আমাদের দিন শেষ?’

আলী ইমাম শিকদার, শরাফত হোসেন বাবু ,কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, মাকছুদুল হকসহ বেশ কয়েকজনকে ধাক্কাধাক্কি, গালাগালি ও মারামারিতে অংশ নিতে ভিডিওতে দেখা যায়।

এই মারামারি, ধাক্কাধাক্কি ও গালাগালি দেখে মিলনায়তনে উপস্থিত দুইশিশু আতঙ্কিত হয়ে পড়তে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তখন কে বা কারা ফোনে পুলিশ ডাকেন। কিন্তু এই ঘটনা যাতে বাইরে কেউ প্রকাশ না করে, তার জন্য ‘বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে’ বলে হোটেলের বাইরে থেকেই পুলিশকে বিদায় দেওয়া হয়। 

আসিফ বারী টুটুলের হস্তক্ষেপে এবং জিল্লুর রহমান জিল্লু, শাহ নেওয়াজ, গিয়াস আহমেদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা হলেও সম্মেলনের শেষ দিন ৫ সেপ্টেম্বর কমিটিতে বিভাজন সুস্পষ্ট হয়ে উঠে। কমিটির নেতারা ‘ফোবানা নিউইয়র্ক গ্রুপ’ এবং ‘ফোবানা নিউইর্য়ক বাহির গ্রুপ’ এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন।

এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে শরাফত হোসেন বাবু এবং কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ মন্তব্য করতে চাননি।

এই সংঘর্ষের পেছনে অর্থনৈতিক হিসাবের ‘গরমিল’ রয়েছে বলে মনে করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম শক্তিশালী এক সদস্য।

আরও পড়ুন

×