আরব আমিরাত যেতে বাধা নেই বাংলাদেশীদের

বাংলাদেশ থেকে আমিরাতগামী ফ্লাইট পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে স্বাভাবিকভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় আমিরাতের বিমান সংস্থাগুলো। বিমান সংস্থা ইত্তেহাদ জানায়, ছয় মাসের অধিক সময় দেশে আটকে থাকা প্রবাসীরাও এই ফ্লাইটে আবুধাবি ফিরতে পারবেন। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেঁধে দেওয়া সকল শর্ত পূরণ করতে হবে।

আমিরাতের ইমার্জেন্সি ক্রাইসিস অ্যান্ড ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশ আটকে থাকা প্রবাসীরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত করোনা টিকার সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করা থাকলে আমিরাত ফিরে আসতে পারবেন। এছাড়া দেশে অবস্থানের মেয়াদকাল ছয়মাস বা এর অধিক হলে ভিসার বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আবুধাবিতে প্রত্যাবর্তনকারীদের ফেডারেল অথরিটি অব আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশীপ (আইসিএ) আর দুবাইয়ের ক্ষেত্রে জিডিআরএফএ-এর অনুমোদন নিতে হবে। যাত্রীদেরকে অবশ্যই টিকা গ্রহণের প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল সহ ১৫টি দেশের নাগরিকদের জন্যও একই আইন কার্যকর হবে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অনুমোদিত ল্যাব থেকে ৪৮ ঘন্টা মেয়াদের কভিড পিসিআর টেস্ট এর নেগেটিভ রেজাল্ট এবং এর কিউআর কোড সংগ্রহ করতে হবে। বোর্ডিং করা পূর্বে একটি র‌্যাপিড পিসিআর টেস্ট, আমিরাত পৌঁছার পর আরেকটি এবং চর্তুথ ও অষ্টম দিনে আরও দুটো টেস্ট করাতে হবে। তবে ১৬ বছরের নীচের শিশুদের জন্য এই বাধ্যবাধকতা নেই।

এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে এখনো র‌্যাপিট টেস্ট ল্যাব স্থাপন হয়নি। ফলে আটকে পড়া প্রবাসীদের কর্মস্থলে ফেরার বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত। আটকে পড়া একাধিক প্রবাসী সমকালকে জানান, দ্রুত সময়ে কর্মস্থলে না ফিরতে পারলে বেশকিছু জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে। তাদের ভিসার মেয়াদ ও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হবার মত জটিলতা বাড়বে। এমনকি ভিসার মেয়াদ উর্ত্তীণ হলে অনেকের ভিসা বাতিল হবারও আশঙ্কা করছেন তারা।

আটকে পড়া আরও অনেকে জানান, দেশের বিমানবন্দরে র‌্যাপিট পিসিআর ল্যাব না থাকায় কেউ কেউ ভারত, নেপাল কিংবা শ্রীলঙ্কা হয়ে আমিরাত ফেরার চিন্তা করছেন। তবে ব্যয়বহুল হওয়ায় এই পদ্ধতি সকল প্রবাসীর গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।