শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক পক্ষের বিরুদ্ধে। জমিটি গোকুল চন্দ্র মণ্ডল নামে এক কৃষকের বলে তিনি দাবি করেছেন। এ নিয়ে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এর আগেই চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার মুন্সিগঞ্জের জেলেখালী বাজারের পাশের জমিটি দখলে নিয়ে ধান রোপণ করে অপর পক্ষ।

গোকুল চন্দ্রের মেয়ে সুপ্রভা মণ্ডল জানান, স্থানীয় আব্দুল জলিল কাগুজী ও ইয়াছিনের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন শনিবার জমি দখল করে নেন। তাঁরা জমিতে গিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমারের নির্দেশে জমি দখলের কথা জানিয়েছেন আব্দুল জলিল। ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ সুপ্রভার।

কৃষক গোকুল চন্দ্র জানান, কয়েক বছর আগে ওই জমি ক্রয়সূত্রে তিনি ভোগদখল করছেন। শনিবার সকালে জলিল ও ইয়াছিনের নেতৃত্বে লাঠিয়ালরা তা দখল করে নিয়েছে। ইউপির একটি বিচারে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ তোলায় তিনি লোকজন দিয়ে তিনি জমি দখল করিয়েছেন।

এ বিষয়ে আব্দুল জলিল কাগুজী বলেন, তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন ৬ শতাংশ জমি নিয়ে গোকুল মণ্ডলের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। চেয়ারম্যান নিজ দায়িত্বে সেখানে ধান রোপণ করিয়েছেন।

চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের অসুস্থতার কারণে সালিশে দেরি হচ্ছে। এ জন্য নিজ দায়িত্বে ধান রোপণ করেছেন। সালিশে জমির মালিকানা যার পক্ষে যাবে, ফসল তাঁকে দেওয়া হবে। সেখানে তাঁর নিজের কোনো স্বার্থ নেই।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন বলেন, আব্দুল জলিল জমির মালিকানা দাবি করলেও কাগজ দেখাতে পারেননি। পরে কাগজ আনতে পারবেন বলে জানান। তখন কাগজ দেখালে এ বিষয়ে সালিশ হবে বলে জানিয়ে দেন। দু'পক্ষকে জমিতে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। এর মধ্যেই জমি দখলের বিষয়টি শুনেছেন। সুস্থ হলে বিষয়টি সমাধান করে দেবেন।