২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের রাজা হোসেন নামে এক ইন্টার্ন নার্সকে মারধরের প্রতিবাদ ও আট দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন নার্সরা। এতে অচল হয়ে পড়েছে হাসপাতালের সব কার্যক্রম। ভেঙে পড়েছে চিকিৎসাসেবা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন নার্সরা। দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

আট দাবিগুলো হলো- অভিযুক্ত সাদ্দামকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে; হাসপাতালের স্টাফ নার্স ও স্টুডেন্ট নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; নার্সদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে; দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ করতে হবে; নার্সদের সঙ্গে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে; নার্সদের নার্স বলে সম্বোধন করতে হবে; দালালদের ইসিজি, আরবিএস, হুইল চেয়ার, ট্রলি হাসপাতালে প্রবেশ করানো যাবেনা; হাসপাতালের আয়া, ওয়ার্ডবয়, আউটসোসিং ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিজস্ব ড্রেসকোড ও আইডি ব্যবহার করতে হবে।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন পাবনা শাখার সভাপতি জাহিদ হাসান সমকালকে বলেন, জনপ্রতিনিধি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবসময় তাদের প্রতি উদাসীন। তাই তাদের আট দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ওমর ফারুক মীর বলেন, এ সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন নার্সদের কর্মস্থলে ফেরাতে কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার মেডিসিন ওয়ার্ডের মহিলা ইউনিটে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় পাবনার ইছামতি নার্সিং কলেজের ডিপ্লোমা ইন সাইন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজা হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন সাদ্দাম হোসেন নামে হাসপাতালের এক দালাল। এরপর থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন হাসপাতালের শিক্ষার্থী নার্স ও ইন্টার্ন নার্সরা।