উপনির্বাচনে মানুষ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে দাবি করে বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, একজন ইউটিউবার হিরো আলমকে পরাজিত করতেও এই সরকার কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকারের কারসাজি শুরু হয়েছে। বিক্ষুব্ধ নেতাদেরকে যেনতেন মার্কা ধরিয়ে নিজ দলের প্রার্থীদের সরিয়ে দিয়ে প্রহসনের সংসদ গঠন করবে তারা। বিএনপি এ ধরনের কোনো নির্বাচন মানে না। জনগণও চায় তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে। 

বৃহস্পতিবার খুলনা বিএনপির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজিজুল বারী হেলাল এসব কথা বলেন। দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। 

প্রারম্ভিক বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, সকালে পুলিশ নগরীর হাজী মহসিন রোড থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। নাশকতার যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, সে ঘটনার সময় অন্য একটি মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন। 

তিনি জানান, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সোহাগের একমাত্র ছেলে বিশাল মঙ্গলবার মারা যায়। সোহাগ পুলিশের দায়ের করা গায়েবি মামলায় কারাগারে। বুধবার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে সোহাগ ছেলের জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণ শেষে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তাকে পুনরায় জেলে নিয়েছে পুলিশ। 

সংবাদ সম্মেলনে আজিজুল বারী হেলাল জানান, প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে আমরা কর্মসূচি সফল করতে দিনরাত কাজ করে চলেছি। জাতীয় নির্বাহী কমিটির একঝাঁক নেতা খুলনা মহানগরসহ বিভাগের জেলায় জেলায় সভা-সমাবেশ, লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে সংগঠিত করছেন। খুলনাতে একটি বিভাগীয় প্রস্তুতিসভাসহ বেশ কয়েকটি সভা হয়েছে। বিএনপি ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দলসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দফায় দফায় প্রস্তুতিসভা করে কর্মকৌশল নির্ধারণ করেছে। 

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কন্ডু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মুজিবর রহমান, জেলা আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলাম জহির, আবু হোসেন বাবু, অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক, খান জুলফিকার আলী জুলু প্রমুখ।