- রাজশাহী
- খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আরও ১৫ দিন স্থগিত
খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আরও ১৫ দিন স্থগিত

ছবি: সমকাল
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের সঙ্গে বৈঠকের পর তার আহ্বানে কর্মবিরতি আরও ১৫ দিন স্থগিত করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আগামীকাল রোববার রাত ৮টায় ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিএমএ নেতাদের বৈঠকের কথা রয়েছে। এরপর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।
খুলনা সিটি মেয়র শনিবার বেলা ১১টায় বিএমএ কার্যালয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তকতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি চিকিৎসকদেরকে তাদের কর্মবিরতি আরও ১৫ দিন স্থগিত রাখার আহবান জানিয়েছেন।
সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএমএ’র কার্যনির্বাহী কমিটি একই স্থানে সভা করেন। সভায় সিটি মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কর্মবিরতি আরও ১৫ দিন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএমএ সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম জানান, সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন রোববার রাত ৮টায় ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করেছেন। সেখানে তারা সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরবেন। এরপর যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন প্রভৃতি কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
চিকিৎসকরা জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর একটি ক্লিনিকে ডা. নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর করেন পুলিশের এএসআই নাঈম। তার মেয়ের ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি ডা. নিশাত বাদী হয়ে এএসআই নাঈমের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। পরদিন এএসআই নাঈমের স্ত্রী বাদী হয়ে ডা. নিশাতের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও মেয়ের অঙ্গহানির অভিযোগে মামলা করেন।
এএসআই নাঈমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ১ থেকে ৪ মার্চ খুলনার সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকরা। ৪ মার্চ সিটি মেয়র এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের আশ্বাসে তারা এক সপ্তাহের জন্য কর্মবিরতি স্থগিত করেছিলেন।
বিএমএ’র যুগ্ম আহবায়ক ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী সমকালকে জানান, এএসআই নাঈমের মেয়ে অথৈ-এর চিকিৎসার জন্য শনিবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ওই বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ছাইদুল হককে। সদস্য করা হয়েছে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. তরিকুল ইসলাম এবং সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. বিপ্লব কুমার বিশ্বাসকে। তারা চাইলে সেখান থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন