নিখোঁজের দুইদিন পর গাড়িতে মিলল চালকের মরদেহ, বন্ধুর স্ত্রী আটক
গাড়ির ভেতর থেকে সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছবি-সমকাল
পাবনা অফিস ও কুমারখালী সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৩ | ০৮:১৩ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩ | ০৮:৪২
নিখোঁজের দু'দিন পর পাবনার সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়ার শিলাইদহ এলাকা থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিকিম কোম্পানির গাড়ি চালক মো. সম্রাট হোসেনের (২৯) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত সম্রাটের বন্ধুর স্ত্রী সীমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
শনিবার সকালে শিলাইদহ এলাকায় গাড়ির ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
নিহত সম্রাট ঈশ্বরদী উপজেলার মধ্য অরণকোলা আলহাজ্ব ক্যাম্প এলাকার বক্কারের ছেলে। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিকিম কোম্পানির গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর আটককৃত সীমা খাতুন ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাঁশেরবাদার আব্দুল মমিনের স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, কুষ্টিয়ার কুমারখালী পুলিশ ও পাবনা সদর থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সীমা খাতুনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, বাঁশেরবাদা এলাকা থেকে তাকে ঈশ্বরদী থানায় আনা হয়েছে। যেহেতু তিনি ইতোপূর্বে নিহতের বাড়িতে যাওয়া-আসা করেছেন এজন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় সব আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে খেয়াঘাট সংলগ্ন সাদিপুর পাকারমোড় এলাকায় গাড়িটি প্রথম দেখা যায়। স্থানীয়রা প্রথমে মনে করে গাড়ি রেখে পদ্মাপার হয়ে কেউ ঘুরতে বা কাজে যেতে পারে। পরে শনিবার সকাল ৬টার দিকে গাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তাঁরা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গাড়ির ভেতর থেকে বস্তাবন্দী ও পলিথিনে মোড়ানো এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।