উন্নয়ন পরিকল্পনায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ না থাকায় কংক্রিটের জঞ্জাল তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া উন্নয়নের নামে নদী দখলের পরিকল্পনা হচ্ছে। নীতিনির্ধারকরা নদীর প্রশস্ততা কমিয়ে আনার মতো নানা পরিকল্পনা করছেন। নদীবক্ষে নগর তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, যা আত্মঘাতী। এতে নদী যেমন মরবে, তেমনি ধ্বংস হবে জীববৈচিত্র্য। আজ ৫ জুন, ৫০তম বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এ উপলক্ষে রোববার রাজশাহীর অলকার মোড়ে রিকশা র্যা লি ও গণসমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। 

পরিবর্তন রাজশাহী, বাংলাদেশ বৈদেশিক কর্মবিষয়ক কর্মজোট, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশবিষয়ক কর্মজোট এবং এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এ শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করে। এতে বক্তব্য দেন বেসরকারি সংস্থা রুলফাও-এর পরিচালক আফজাল হোসেন, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিচালক দিল সেতারা চুনি, পরিবর্তন পরিচালক রাশেদ রিপন, মহিলা পরিষদ-রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক অঞ্জনা রায়, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারপারসন মর্জিনা পারভীন, অগ্নী প্রকল্পের সমন্বয়কারী হাসিবুল হাসান, হানিফ খন্দকার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে প্লাস্টিক পরিহার করতে হবে। প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন করা হয়, যার অর্ধেক ফেলে দেওয়া হয় একবার ব্যবহার করে। এসব আমাদের জীবন-জীবিকার ওপর প্রভাব ফেলছে। এই প্লাস্টিক নদনদী, পুকুর-জলাশয়, সাগর-হ্রদ দূষিত করে তুলেছে। সচেতনতাই শুধু পারে এর থেকে পরিত্রাণ দিতে। 

উন্নত প্রযুক্তির নামে আমদানিনির্ভর এলএনজি সংরক্ষণ প্রযুক্তি প্রবর্তন জনসাধারণের জীবন-জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার যে হারে বাড়ছে, তাতে পরিবেশ বিপর্যয় অনিবার্য। আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হতে হবে। ইতোমধ্যে সরকার এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছে। আমরা চাই প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন। বিশেষ করে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান অনুযায়ী আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে পৌঁছতে চাই। 

/এইচকে/