- সাহিত্য ও সংস্কৃতি
- 'মওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়'
'মওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়'

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে বাদ দিয়ে এদেশের মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক ও লেখক আবু সাঈদ খান। তিনি বলেন, আমাদের মুক্তির সংগ্রামে দুইটি ধারা কাজ করেছে। একটি হলো বাম প্রগতিশীল ধারা, অপরটি হলো জাতীয়তাবাদী ধারা। জাতীয়তাবাদী ধারায় তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এসময় বামরা তার সঙ্গে ছিলো। এদেশের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এবং বাম আন্দোলন দুটোতেই তার নাম জড়িয়ে আছে। অর্থাৎ তাকে বাদ দিয়ে এদেশের মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পরীবাগে অবস্থিত সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মওলানা ভাসানীকে নিয়ে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী অনলাইন বইমেলা উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। শ্রাবণ প্রকাশনী এই বইমেলার আয়োজন করে।
প্রকাশনীর কর্ণধার রবিন আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, মওলানা ভাসানী গবেষক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান এবং মওলানা ভাসানীর নাতি আজাদ খান ভাসানী।
অনুষ্ঠানে আবু সাঈদ খান বলেন, বাংলাদেশের কিংবা বাঙালি জাতির উত্থানের ক্ষেত্রে যে মানুষগুলো ভূমিকা রেখেছেন, তাদের মধ্যে মওলানা ভাসানী অগ্রগণ্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতার যে সংগ্রাম, তা একদিনে হয়নি। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, আবুল কাশেম ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানীসহ অনেক বড় বড় নেতার প্রচেষ্টায় এই অঞ্চলে একটি জাতির উত্থান ঘটেছিলো। সেই সংগ্রামকে চূড়ান্ত রূপ দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারা সবাই আমাদের ইতিহাসের একেকটি স্তম্ভ। তাদের কাউকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। এই ইতিহাসকে লিখতে হলে দেশের এসব অগ্রগণ্য রাজনীতিকদের কাছে ফিরে যেতে হবে।
নাজমুল হক প্রধান বলেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে মওলানা ভাসানী সক্রিয় ও মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি এই আন্দোলনে ভূমিকা না রাখলে হয়তো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ষড়যন্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি পেতেন না এবং আজকের বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠতে পারতেন না।
আজাদ খান ভাসানী বলেন, মওলানা ভাসানীর কাছে সকল মতাদর্শের মানুষ আসতেন। তিনি সবাইকে নিয়ে বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করতে চেয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে মওলানা ভাসানীকে নিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা একটি কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিকার মীর আবদুল বরকত।
উদ্বোধনী দিনে মওলানা ভাসানীকে নিয়ে লেখা ২৩টি বই প্রদর্শন করা হয়। তাকে নিয়ে লেখা বইগুলো www.boionlinebd.com- এই ওয়েবসাইট থেকে কেনা যাবে। এছাড়া আগামী ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র থেকে তাজউদ্দিন আহমেদ নিয়ে ১০ দিনব্যাপী অনলাইন বইমেলা উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন