বাংলাদেশ ও নেপালের তরুণ সমাজকে এক করে দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময় ও বন্ধুত্ব জোরদার করার প্রয়াস নেপাল-বাংলাদেশ ইয়ুথ কনক্লেভের (এনবিওয়াইসি)। আয়োজনটির পঞ্চম আসর হয়ে গেল সম্প্রতি।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে পারস্পরিক আলোচনার সুযোগ হয়েছে বাংলাদেশ ও নেপালের তরুণদের মধ্যে। দুই দেশের গান, নাচ, লোকজ শিল্প প্রদর্শিত হয়েছে কাঠমান্ডু শহরে। বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক, কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, উদ্যোক্তাসহ অনেকেই ছিলেন। টিম লিডারের দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটির সভাপতি তানিম ইমতিয়াজ। নেপালের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

উদ্বোধনী পর্বের পর চা-বিরতি শেষে নেপালের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে নেপালের লোকজ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য নানা মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। এরপর পরিবেশন করা হয় নেপালি ধাঁচে রান্না করা খাবার। বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি সম্মান রেখে এই বছরের কনক্লেভকে 'বঙ্গবন্ধু ইয়ুথ কনক্লেভ' ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর গৌরবোজ্জ্বল জীবনের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনী শেষে তরুণ যুব প্রতিনিধিরা সাইবার বুলিং, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, জলবায়ু পরিবর্তন, দূরশিক্ষণ, নেপালের পরিবেশ আইন ও তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রবন্ধ ও ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। অংশগ্রহণকারীদের ক্রেস্ট ও সনদ দেন রাষ্ট্রদূত। তারপর তরুণ প্রতিনিধিদের নিয়ে যাওয়া হয় গ্লোবাল একাডেমি ফর ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি এডুকেশন কলেজে। সন্ধ্যায় ছিল কনক্লেভের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে নেপাল ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল। বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা তুলে ধরেছেন দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ঋতুবৈচিত্র্য, জীবনসংগ্রাম, লোকজ সংস্কৃতি।