বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার আগেই সারাদেশে ঘুরে বেরিয়েছেন। তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিশেছেন। তিনি ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা।

শনিবার রাজধানীর পরীবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে 'বঙ্গবন্ধু শতবর্ষে শতস্মৃতি' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। বইটি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশিত ১০০ জনের সাক্ষাৎকার থেকে সম্পাদনা করেছেন সাংবাদিক প্রণব সাহা।

শ্রাবণ প্রকাশনী প্রকাশিত বইটির মোড়ক উন্মোচনে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এ দেশের নাম হবে বাংলাদেশ। পরে ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু তর্জনি উঁচিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, অমানুষরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা সবাই বঙ্গবন্ধুর বাসায় নিয়মিত আসতেন। তারা ছিলেন ঘরের মানুষ। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চাইলে বিশ্ব এর বিরোধিতা করে। কিন্তু অমানুষরা দেশে তার ঘরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।

সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ খান বলেন, বঙ্গবন্ধু থানা পর্যায়ে নেতা, এমনকি কর্মীদের নামও মনে রাখতে পারতেন। দেশ-বিদেশ ঘুরলেও তাঁর হৃদয়ে ছিল টুঙ্গিপাড়ার মাটি ও মানুষ। বঙ্গবন্ধুর আরেকটি পরিবার ছিল আওয়ামী লীগ। তবে তিনি দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও ডান-বাম সব ঘরানার মানুষের সঙ্গে মিশতেন। আওয়ামী লীগের নেতা হওয়া নয়, তাঁর লক্ষ্য ছিল দেশ স্বাধীন করা। এ জন্য তিনি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসেছেন।

প্রণব সাহা বলেন, একটি বেসরকারি টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বছরজুড়ে সাক্ষাৎকার প্রকাশ হয়। তা থেকে বাছাই করে একশ বক্তব্য বইয়ে ছাপানো হয়েছে। এতে রাজনৈতিক নেতা ছাড়া তৃণমূল ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা তাঁদের অভিমত প্রকাশ করেন। বইটি নিয়ে আরও আলোচনা করেন জাহিদ নেওয়াজ খান, রাজীব পারভেজ ও রবীন আহসান।