- সাহিত্য ও সংস্কৃতি
- কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে যথাযোগ্য সম্মান দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে যথাযোগ্য সম্মান দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সমকাল
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হয়েছে কি-না এ নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন। আমি মনে করি, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই ১৯৭২ সালের ২৪ মে কাজী নজরুল ইসলামকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতা থেকে সপরিবারে ঢাকায় এনে জাতীয় কবির মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কাজী নজরুলকে যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন।’
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরস্থ মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) টাওয়ার এর স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘জেমস অফ নজরুল' এর শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় নজরুল সংগীতের একক ভিডিও অ্যালবাম প্রকাশ ও নজরুল সংগীত শিল্পীদের ডিজিটাল ডিরেক্টরি প্ল্যাটফর্ম এর কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, অসচ্ছলতার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা কবি নজরুল ৭৭ বছরের জীবনে ৩৪ বছর ১২০ দিন নির্বাক ছিলেন। সবমিলিয়ে সাহিত্যচর্চা করতে পেরেছেন মাত্র ২২ বছর। তা ছাড়া নজরুল এমন সময়ে সাহিত্য সাধনা শুরু করেন যখন বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় দোর্দণ্ড প্রতাপে রাজত্ব করছিলেন এবং সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।’ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যদি নজরুল দীর্ঘ সময় নির্বাক না থাকতেন এবং অসচ্ছলতার মধ্য দিয়ে বেড়ে না উঠতেন, তবে বাংলা সাহিত্য জগতে তিনি আকাশকে স্পর্শ করতে পারতেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘জেমস অব নজরুল’ এর আহ্বায়ক বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ সাদ আন্দালিব।
শুদ্ধসুরে নজরুল সংগীত পরিবেশনার উপযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্লী সুমন চৌধুরী। সর্বাধুনিক রেকর্ডিং কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক ইবরার টিপু।
প্রসঙ্গত, কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমূল্য সংগীতরাজি শুদ্ধসুরে উপস্থাপন, নজরুল সংগীত শিল্পীদের শুদ্ধসুরে প্রশিক্ষিত করে পরিবেশনায় উদ্বুদ্ধকরণ, পরিবেশনায় নান্দনিকতা, আধুনিক পরিমণ্ডলে প্রযুক্তির সুষম মেলবন্ধনে উপস্থাপিত গানগুলোর ভিডিও ধারণ ও প্রচারের মাধ্যমে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া, ইত্যাদি স্বপ্নগুলোকে বুকে ধারণ করে বিশিষ্ট নজরুলগীতি শিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিক এর উদ্যোগে ‘জেমস অফ নজরুল’ যাত্রা শুরু করে ২০১৬ সালে।
মন্তব্য করুন