- সাহিত্য ও সংস্কৃতি
- জুলাই থেকে শুধু বাংলা কিউআর কোড থাকবে
জুলাই থেকে শুধু বাংলা কিউআর কোড থাকবে

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বজনীন লেনদেন প্ল্যাটফর্ম বাংলা কিউআরে মঙ্গলবার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ২৩৪টি লেনদেনের বিপরীতে পরিশোধ হয়েছে ১২ হাজার ১৫১ টাকা। এ দিন ইস্টার্ন ব্যাংকের ২১০টি লেনদেনের বিপরীতে পরিশোধ হয় ২ হাজার ৩৭ টাকা। আর সব মিলিয়ে ৭৯৭টি লেনদেনের বিপরীতে ১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা পরিশোধ হয়েছে। এর মানে প্রতি লেনদেনে গড়ে পরিশোধ হয়েছে ২৩৫ টাকারও কম। শুরু থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৩৯১টি লেনদেনের বিপরীতে ১৭ লাখ ৮ হাজার ৪৬ টাকা পরিশোধ হয়েছে। এসব পরিশোধের বেশিরভাগই হয়েছে ফুটপাতের জামা, রাস্তার পাশে চা, জুতা পলিশ কিংবা ঝাল-মুড়ির দাম মেটাতে।
বাংলা কিউআর (কুইক রেসপন্স) হলো দেশের সব ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) অ্যাপভিত্তিক লেনদেন নিষ্পত্তির একটি কমন প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত যে কোনো ব্যাংক বা এমএফএসের গ্রাহক যে কোনো অন্য কিউআর থেকে পরিশোধ করতে পারেন। লেনদেনে স্বচ্ছতা বাড়ানো, ঝুঁকিমুক্ত, কম খরচ ও দ্রুত করতে ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এমন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন এ ব্যবস্থায় লেনদেনে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
গতকাল এক নির্দেশনার মাধ্যমে আগামী ৩০ জুনের পর বাংলা কিউআর ছাড়া আর কোনো কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন ব্যবস্থা না রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক, এমএফএসের নিজস্ব মালিকানার কিউআর থাকলে আবশ্যিকভাবে ৩০ জুনের মধ্যে তা বাংলা কিউআরে প্রতিস্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলা কিউআর ব্যবহারে দৈনিক সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা লেনদেনের যে সীমা ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংক বা এমএফএস নিজস্ব ঝুঁকি বিবেচনায় মার্চেন্ট পেমেন্টের ক্ষেত্রে বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক একক লেনদেনের সীমা, দৈনিক লেনদেনের সীমা ও সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারবে। তবে এ মাধ্যমে সন্দেহজনক বা বৃহৎ অঙ্কের লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান থেকে যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে।
এ ধরনের ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০২০ সালের শেষদিকে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাংলা কিউআরের ব্যবহারবিধি বিষয়ে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্যাশলেস প্রচারণার অংশ হিসেবে গত ১৮ জানুয়ারি মতিঝিল এলাকার ভাসমান ১২শ দোকানে বাংলা কিউআরের লেনদেন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। এসব দোকানদারের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একটি করে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে ব্যাংক বা এমএফএস।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সমকালকে বলেন, ক্যাশলেস স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। ফলে একটি দোকানে এক ব্যাংকের কিউআর থাকলেই যে কোনো ব্যাংক এমএফএসের গ্রাহক পরিশোধ করতে পারবেন। এতে মার্চেন্টের ঝামেলা কম। আবার গ্রাহককেও পরিশোধের জন্য নিজের ব্যাংক বা এমএফএসের কিউআর খুঁজতে হবে না। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মতিঝিল এলাকার রাস্তার পাশের ভাসমান দোকানে কিউআর দেওয়া হয়েছে। ফুটপাতের চা কিংবা জামা-কাপড় বা অন্য জিনিসের বিল অনেকেই দিচ্ছেন অ্যাপ থেকে। সারাদেশে এটা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, বাংলা কিউআর লেনদেনে প্রাথমিকভাবে ১১টি ব্যাংক ও তিনটি এমএফএস যুক্ত হয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইস্টার্ন, ডাচ্-বাংলা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, দ্য সিটি, পূবালী, ইউসিবি, ওয়ান, ব্যাংক এশিয়া ও এবি ব্যাংক। আর তিন এমএফএস প্রতিষ্ঠান হলো- বিকাশ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের রকেট ও ইউসিবিএলের উপায়। দেশে বর্তমানে ব্যাংক রয়েছে ৬১টি। আর অনুমোদিত এমএফএস রয়েছে ১৩টি। পর্যায়ক্রমে অন্য সব ব্যাংক ও এমএফএস এ ব্যবস্থায় যুক্ত হবে। এ ছাড়া পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডর (পিএসপি) ও পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটররা (পিএসও) এখানে যুক্ত হতে পারবেন। দোকানে যে কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের কিউআর থাকলে এ ব্যবস্থায় যুক্ত যে কোনো প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক পরিশোধ করতে পারবেন। দোকানদার বা গ্রাহক কারও বাড়তি চার্জ লাগবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নগদ অর্থ পরিশোধ ঝুঁকিপূর্ণ। চেকে পরিশোধ সময়সাপেক্ষ ও জটিল। আবার কার্ডে পরিশোধ করতে ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে অনেক বিনিয়োগ করতে হয়। ফলে ছোট মার্চেন্ট যেমন- ডাব, ঝালমুড়ি, মুচির পক্ষে এ ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। যে কারণে প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল পেমেন্ট প্রসার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বজনীন বাংলা কিউআরের মাধ্যমে এটা দ্রুত প্রসার সম্ভব হবে।
বাংলা কিউআর (কুইক রেসপন্স) হলো দেশের সব ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) অ্যাপভিত্তিক লেনদেন নিষ্পত্তির একটি কমন প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত যে কোনো ব্যাংক বা এমএফএসের গ্রাহক যে কোনো অন্য কিউআর থেকে পরিশোধ করতে পারেন। লেনদেনে স্বচ্ছতা বাড়ানো, ঝুঁকিমুক্ত, কম খরচ ও দ্রুত করতে ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এমন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন এ ব্যবস্থায় লেনদেনে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
গতকাল এক নির্দেশনার মাধ্যমে আগামী ৩০ জুনের পর বাংলা কিউআর ছাড়া আর কোনো কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন ব্যবস্থা না রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক, এমএফএসের নিজস্ব মালিকানার কিউআর থাকলে আবশ্যিকভাবে ৩০ জুনের মধ্যে তা বাংলা কিউআরে প্রতিস্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলা কিউআর ব্যবহারে দৈনিক সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা লেনদেনের যে সীমা ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংক বা এমএফএস নিজস্ব ঝুঁকি বিবেচনায় মার্চেন্ট পেমেন্টের ক্ষেত্রে বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক একক লেনদেনের সীমা, দৈনিক লেনদেনের সীমা ও সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারবে। তবে এ মাধ্যমে সন্দেহজনক বা বৃহৎ অঙ্কের লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান থেকে যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে।
এ ধরনের ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০২০ সালের শেষদিকে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাংলা কিউআরের ব্যবহারবিধি বিষয়ে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্যাশলেস প্রচারণার অংশ হিসেবে গত ১৮ জানুয়ারি মতিঝিল এলাকার ভাসমান ১২শ দোকানে বাংলা কিউআরের লেনদেন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। এসব দোকানদারের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একটি করে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে ব্যাংক বা এমএফএস।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সমকালকে বলেন, ক্যাশলেস স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। ফলে একটি দোকানে এক ব্যাংকের কিউআর থাকলেই যে কোনো ব্যাংক এমএফএসের গ্রাহক পরিশোধ করতে পারবেন। এতে মার্চেন্টের ঝামেলা কম। আবার গ্রাহককেও পরিশোধের জন্য নিজের ব্যাংক বা এমএফএসের কিউআর খুঁজতে হবে না। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মতিঝিল এলাকার রাস্তার পাশের ভাসমান দোকানে কিউআর দেওয়া হয়েছে। ফুটপাতের চা কিংবা জামা-কাপড় বা অন্য জিনিসের বিল অনেকেই দিচ্ছেন অ্যাপ থেকে। সারাদেশে এটা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, বাংলা কিউআর লেনদেনে প্রাথমিকভাবে ১১টি ব্যাংক ও তিনটি এমএফএস যুক্ত হয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইস্টার্ন, ডাচ্-বাংলা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, দ্য সিটি, পূবালী, ইউসিবি, ওয়ান, ব্যাংক এশিয়া ও এবি ব্যাংক। আর তিন এমএফএস প্রতিষ্ঠান হলো- বিকাশ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের রকেট ও ইউসিবিএলের উপায়। দেশে বর্তমানে ব্যাংক রয়েছে ৬১টি। আর অনুমোদিত এমএফএস রয়েছে ১৩টি। পর্যায়ক্রমে অন্য সব ব্যাংক ও এমএফএস এ ব্যবস্থায় যুক্ত হবে। এ ছাড়া পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডর (পিএসপি) ও পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটররা (পিএসও) এখানে যুক্ত হতে পারবেন। দোকানে যে কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের কিউআর থাকলে এ ব্যবস্থায় যুক্ত যে কোনো প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক পরিশোধ করতে পারবেন। দোকানদার বা গ্রাহক কারও বাড়তি চার্জ লাগবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নগদ অর্থ পরিশোধ ঝুঁকিপূর্ণ। চেকে পরিশোধ সময়সাপেক্ষ ও জটিল। আবার কার্ডে পরিশোধ করতে ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে অনেক বিনিয়োগ করতে হয়। ফলে ছোট মার্চেন্ট যেমন- ডাব, ঝালমুড়ি, মুচির পক্ষে এ ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। যে কারণে প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল পেমেন্ট প্রসার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বজনীন বাংলা কিউআরের মাধ্যমে এটা দ্রুত প্রসার সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন