অনলাইনে অজানা শত্রু

ফাহমিদা রিমা
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০৬:৫৫
সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পরিচিত হতে অনেকেই আপনাকে পাঠাতে পারে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। তাই বলে সবাইকে অ্যাকসেপ্ট করবেন? একেবারে অপরিচিতদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করার পর আবার আপনার আইডি হ্যাক হয়ে যেতে পারে, এমন ভাবারও কিছু নেই। তবে কিছু কারণে অজানা-অচেনা কাউকে অ্যাকসেপ্ট না করাই ভালো। চলুন, ঝুঁকির বিষয়টি জেনে নিই–
ব্যক্তিগত তথ্য
নানা রকম চুরি থেকে শুরু করে প্রতারণামূলক কাজে ব্যবহৃত হতে পারে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য। আপনার তথ্য কাজে লাগিয়ে আর্থিকসহ আরও নানা ক্ষতি করতে পারে অপরিচিত বন্ধুরা। ইন্টারনেটে কারও পরিচয় সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যেমন কঠিন, তেমনি আপনার আসল নাম, বাবা-মায়ের নাম, কোথায় সময় কাটান সেসব কাজে লাগিয়ে বা আপনার নাম ব্যবহার করে কাছের মানুষদের থেকেও সুবিধা নিতে পারে অনেকে। আবার আপনার তথ্য নিয়ে ফেসবুকে অন্য অ্যাকাউন্ট খুলে বিব্রতকর কাজ করেও বেড়াতে পারে। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে অস্বস্তি আর বিপদের বড় কারণ।
বিরক্তিকর স্প্যাম
বিরক্তিকর স্প্যাম আর ওয়েব লিঙ্কের জ্বালা প্রায় আমাদের সবাইকে কম-বেশি ভোগ করতে হয়। যদি অপরিচিত ফেসবুক বন্ধুদের মধ্যে হ্যাকার থাকে, তবে ইচ্ছা করে আপনার অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড নেওয়ার জন্যও পাঠাতে পারে এমন সব জিনিস। এসবে ক্লিক করলেই নানা ঝামেলার শিকার হতে হয়, যেটা আপনার কম্পিউটার আর তাতে সংরক্ষিত তথ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ।
জুয়া কিংবা অপরাধের ফাঁদ
কম বয়সীদের উগ্র মস্তিষ্কের নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম থেকে শুরু করে ধর্মীয় মৌলবাদের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফেসবুক ব্যবহার হয়। বর্তমানে খুব বেড়েছে জুয়ার নেতিবাচক প্রভাব। এর সঙ্গে ব্ল্যাকমেইল থেকে শুরু করে মানসিক নির্যাতন তো আছেই। প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া আর গুজব ছড়ানোর সঙ্গেও ফেসবুক ব্যবহারের প্রমাণ আছে। সদ্য টিনএজে পা রাখিয়েদের আবেগ কাজে লাগিয়ে নানা অপরাধে জড়ানোর পাশাপাশি আছে অপরিচিতদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পরে নানা রকমের বিপত্তি।
নিরাপত্তা জোরদার
অপরিচিতদের অ্যাকসেপ্ট করার সঙ্গে যদি আপনার ফেসবুকের নিরাপত্তা দুর্বল থাকে তাহলে আপনার বন্ধুরাও বিপদে পড়তে পারেন। তবে কাকে অ্যাকসেপ্ট করবেন তা আপনার সিদ্ধান্ত। ভালোভাবে দেখে চেনাদের অ্যাড করলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং হবে নিরাপদ–ঝুঁকিমুক্ত। n