ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

রাখাইনপল্লির শিশুদের পাশে...

রাখাইনপল্লির শিশুদের পাশে...

রাখাইন শিশুদের সঙ্গে ‘মানবতার সেবা’ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা... 3 ছবি : সংগ্রহ

রুবেল মিয়া নাহিদ

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০৬:৫৮

মানুষের সঙ্গে, মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয়ে চকরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল মানিকপুরে সুবিধাবঞ্চিত ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, নারী ও শিশুদের সুরক্ষা, শিক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত, ডিজিটাল সাক্ষরতাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে স্বেচ্ছসেবী সংগঠন ‘মানবতার সেবা’। 
সংগঠনটি রাখাইন ভাষা চর্চা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণেও কাজ করছে। ইনারুল ইসলাম ও একদল স্বপ্নবাজ তরুণের হাত ধরে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। বর্তমানে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন মানবতার সেবায়। করোনাকালে যখন সবাই ঘরবন্দি তখন সংগঠনের সদস্যরা জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে পরিবহনসেবা দেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে অধ্যয়ন ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিশুদের স্কুলমুখীকরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ-যৌন হয়রানি ও বাল্যবিয়ে বন্ধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি এবং অসহায় ও অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেন। 
রাখাইন সম্প্রদায়ের পাশাপাশি অসহায়, দুস্থ ও এতিম শিশুদের ঈদবস্ত্র বিতরণসহ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কাজ করছে ‘মানবিক পাঠশালা’। মানবিক পাঠশালার স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের সৃজনশীল চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সমাজের অবহেলিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা জরুরি ব্লাড ডোনেশনে মানবিক ব্লাড ডোনার টিম গঠন, উন্মুক্তভাবে জ্ঞানচর্চা ও দক্ষতা অর্জনে মানবিক পাঠশালা উন্মুক্ত পাঠাগার স্থাপন, সমাজের অক্ষরজ্ঞানহীন বয়স্ক ও পথশিশুদের নিয়ে সাক্ষরতা কার্যক্রম, ডিজিটাল সাক্ষরতার মাধ্যমে প্রযুক্তিনির্ভর জনশক্তি সৃষ্টিতে আইসিটিবিষয়ক কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তেও কাজ করে যাচ্ছেন।
মানবিক পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা ইনারুল ইসলামের কাছে আগামীর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাময় গুণাবলি বিকাশের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা এবং তাদের নৈতিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখাতে কাজ করছে মানবিক পাঠশালা। মাতৃভাষায় কথা বলতে পারলেও বর্ণমালা না জানায় নিজের ভাষায় লিখতে বা পড়তে পারছে না রাখাইন শিশুরা। অনেকের কথ্য ভাষায়ও বাংলা ও ইংরেজি শব্দের মিশ্রণ দেখা যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের অভাব, যথাযথ চর্চা, মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা সংকট ও সংরক্ষণের অভাবে তা হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা আগামীতে বাংলা ভাষার পাশাপাশি তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি সংরক্ষণেও কাজ করতে চাই।’ n

আরও পড়ুন

×