- সাহস
- বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণে কাজ করেন যাঁরা
বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণে কাজ করেন যাঁরা

২০১৪ সালে একদল উদ্যমী শিক্ষার্থীর হাত ধরে যাত্রা শুরু করে বোসন বিজ্ঞান সংঘ। টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে 'বোসন গণিত উৎসব-২০১৪'-এর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে সংঘের। জেলার শিক্ষার্থীদের গণিত ও বিজ্ঞানভীতি দূরীকরণ, অলিম্পিয়াড সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিতি করা ও মেধার উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্য নিয়ে 'জ্ঞানের আলোয় উন্মোচিত হোক চেতনার নতুন দিগন্ত' স্লোগানকে ধারণ করে কাজ শুরু করে সংঘটি।
জেলার বিভিন্ন স্কুল ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে সংঘটি জেলায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রোগ্রামিং কর্মশালা, গণিত ও বিজ্ঞান উৎসব এবং বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসবসহ মোট ৬০টি আয়োজন সম্পন্ন করে।
সংঘের মূল উদ্দেশ্য হলো, বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ তৈরি এবং জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের অলিম্পিয়াড সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করানো ও তাদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতার বীজ বপনে ভূমিকা পালন করা। গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দময় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সংঘটি। তারা নিয়মিত আয়োজন করে বিভিন্ন কর্মশালা ও অলিম্পিয়াডের। এ কর্মশালাগুলোতে এমন পরিবেশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করানো হয়, যা গতানুগতিকের বাইরে। তারা শেখার ব্যাপারটিকে উপভোগ করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরিতে এ কর্মশালাগুলো সহায়ক। শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় অলিম্পিয়াডে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে প্রতিনিয়ত। ইতোমধ্যে সংঘের শিক্ষার্থীদের অনেকেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছে ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে।
সংঘের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৬ সালে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি বাংলাদেশের তৃতীয় সেরা গণিত ক্লাব খেতাব অর্জন করে। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তারা 'জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২২' অর্জন করে। মাজেদুল সৌরভ বলেন, 'বিজ্ঞান সংঘের স্বপ্ন বাংলাদেশে বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে কাজ করে যাওয়া। গণিত ও বিজ্ঞানভীতি দূর করে আনন্দময় করে গণিত ও বিজ্ঞানকে উপস্থাপন করা। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত ও বিজ্ঞানের আলো পৌঁছে দিয়ে মূল ধারার শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য দক্ষ হয়ে তৈরি হোক। এ ক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বড় যে দক্ষতার প্রয়োজন হবে, তা হচ্ছে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা। আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মই বাংলাদেশের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে সামনে এগিয়ে যাবে।'
মন্তব্য করুন