শাকির আলম। ২০২০ সালে কক্সবাজারে প্লাস্টিক ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করেন। প্লাস্টিক ব্যাংক মূলত প্লাস্টিক রিসাইকেল, সচেতনতা বৃদ্ধি ও বর্জ্য ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে। শাকির আলম প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্যের দূষণের কবল থেকে পর্যটননগরী কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।

নিজের কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে শাকির আলম বলেন, ‘কক্সবাজারে আসা পর্যটক এবং স্থানীয়দের ব্যবহৃত প্লাস্টিক বোতল, চিপস ও বিস্কুটের খালি প্যাকেট, পলিথিন এবং জুসের বোতলে একাকার সৈকত। এসব বর্জ্যে একদিকে সৈকতের যেমন পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে বিভিন্ন প্রজাতির শামুক, ঝিনুকসহ সামুদ্রিক প্রাণীর বিস্তার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ এখনই বন্ধ করতে না পারলে উপকূলের জীববৈচিত্র্য ও পর্যটনশিল্পের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। আমরা প্লাস্টিক ব্যাংক কার্যক্রমের মাধ্যমে এই দূষণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’

কক্সবাজারে প্রতিদিন সমুদ্রের নোনাজলে গা ভাসানো আর বালুকা বেলায় দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসে মানুষ। তবে প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্যময় স্থানটি দখল করে নিচ্ছে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য। পর্যটক ও স্থানীয়দের ব্যবহৃত প্লাস্টিক বোতল, চিপস কিংবা বিস্কুটের খালি প্যাকেট, পলিথিন এবং জুসের বোতলে একাকার সৈকত। যত্রতত্র এসব বর্জ্য ছড়িয়ে -ছিটিয়ে আছে। এসব প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেলে প্লাস্টিক ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্লাস্টিক ব্যাংক ২০২০ সালে কক্সবাজার সাগরপাড়ের প্রায় দীর্ঘ ২০ কিলোমিটারে ভেসে আসা প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে কাজ করে পেয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে বিশেষ সম্মাননা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ঝুলিতে আছে আরও বেশ কিছু অর্জন।

প্লাস্টিক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শাকির আলম বলেন, ‘কক্সবাজার প্লাস্টিক ব্যাংক রিসাইকেল প্রতিষ্ঠানটি বড় আকারে কাজ করার জন্য পরিকল্পনা করেছে। ২০২৩ সালে কক্সবাজারে বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টিক ব্যাংক কালেকশন সেন্টার, রিসাইকেল ও অ্যাপস ডেভেলপ করার মাধ্যমে কী পরিমাণ প্লাস্টিক সংগ্রহ ও বিক্রয় হচ্ছে তার ডাটাবেজ তৈরির জন্য ইতোমধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।’