ঢাকা বুধবার, ২১ মে ২০২৫

বন্যপ্রাণী রক্ষায় উদ্যোগ

বন্যপ্রাণী রক্ষায় উদ্যোগ

আসাদুল্লাহ হাসান মুসা

রুবেল মিয়া নাহিদ 

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪ | ২১:২৪

আসাদুল্লাহ হাসান মুসা। সাপের বিপদে পড়ার খবর পেলে ছুটে যান। সঙ্গে একদল উদ্ধার কর্মী। বিষধর ও নির্বিষ সাপ উদ্ধার করে ছেড়ে দেন উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজের সঙ্গে যুক্ত হন মুসা। ২০১৯ সালে পটুয়াখালীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অ্যানিম্যাল লাভার্স অব পটুয়াখালীর প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠনে যোগ দেন। রাস্তায় অসুস্থ কুকুর, বিড়াল এবং বন্যপ্রাণীদের নিয়ে কাজ শুরু করেন। করোনার সময়ে কঠোর লকডাউনে পটুয়াখালী জেলায় কুকুরদের মাঝে খাবারের সংকট দেখা দিলে দিনে খাবার রান্না করে রাতে রাস্তায় নেমে তাদের খাবার দিতেন। কেবল তাই নয়; দেশের বিভিন্ন দুর্যোগের সময়ে কুকুরদের খাবার দিয়ে আসছেন তিনি। 
মুসা কুকুর-বিড়ালদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে প্রশিক্ষণ নেন এবং রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকা কুকুর-বিড়ালকে ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা দিতে শুরু করেন। ২০২১ সালে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল খুলনা থেকে তিনি বন্যপ্রাণী হ্যান্ডলিং এবং আইন বিষয়েও প্রশিক্ষণ নেন।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মী আসাদুল্লাহ হাসান মুসা বলেন, ‘পটুয়াখালী জেলাসহ বরিশাল বিভাগে বিজ্ঞানসম্মত সাপ উদ্ধারকারী না থাকায় আমাদের সংগঠন মানুষ ও সাপের সংঘাত কমিয়ে আনার উদ্দেশ্য এবং সাপ থেকে দুর্ঘটনাবশত মানুষ যাতে দংশিত না হয়, মানুষের বাসাবাড়িতে সাপ ঢুকে পড়লে যাতে নিরাপদে তাকে উদ্ধার করে আবার প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা যায় সেই উদ্দেশ্যে সাপের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করি। কেবল সাপই নয়; ২০১৯ সাল থেকে দুই শতাধিক দেশীয় পাখি ও বিভিন্ন প্রজাতির  তিন শতাধিক বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করেছি। আগামীতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করতে চাই।’ 

আরও পড়ুন

×