হঠাৎ আন্দোলন শুরু হলে...
.
ফাহমিদা রিমা
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩:১৫
জুলাই আন্দোলনে সফলতা দেখেছি আমরা। এখন আবার এলোপাতাড়ি কিছু আন্দোলনও দেখছি। আসলে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ ক্যাম্পাসে হুটহাট আন্দোলন শুরু হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আর কলেজে এ যেন নিত্যদিনের ব্যাপার! হুটহাট আন্দোলনে আপনিও কি গা ভাসিয়ে দেবেন? চলুন জেনে নিই– আগে নিশ্চিত হোন আন্দোলন শুরু হলে তাতে গা ভাসিয়ে না দিয়ে আগে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে নিন– আসলে আন্দোলন কী নিয়ে। আজকাল আন্দোলনের বিষয়ের তো অভাব নেই! তবে সব আন্দোলনকে আবার নেতিবাচকভাবে নেওয়া যাবে না।
আপনার সম্পৃক্ততা
বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পর দেখুন এতে আপনার সম্পৃক্ততা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তার মানে যে কোনো আন্দোলনে যোগদান আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়।
অধিকার আদায়
ছাত্রদের অধিকার আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত আন্দোলনে যোগ দিতে পারেন অনায়াসে। তবে যোগ দেওয়ার আগে এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয় ভাবুন। তারপর আন্দোলনে নামুন।
উপযুক্ত স্থান
যে কোনো বিষয়ে আন্দোলন করা যেতেই পারে। তবে তা কোথায় করতে হবে এবং আন্দোলন সফল করার জন্য কাদের নজর কাড়তে হবে, এ জন্য কী ভূমিকা নিতে হবে– তা ঠিক করে আন্দোলন শুরু করুন। এতে ফল পাবেন দ্রুতই।
রাজনৈতিক আন্দোলন
রাজনৈতিক আন্দোলন পারলে এড়িয়ে চলুন। এসব আন্দোলনে নামার আগে পরিবারের কথাটাও ভাবতে হবে। আপনি কোত্থেকে এসেছেন এবং আপনার ওপর পরিবারের যে দায়িত্ব তাও মাথায় রাখতে হবে। তা ছাড়া এখনকার রাজনীতির কথা নতুন করে মনে করিয়ে দিতে হবে না আপনাদের!
কূটকৌশল
আন্দোলন সফল করার জন্য কৌশলী হতে হবে। আন্দোলন মানে ভাঙচুর কিংবা জ্বালাও-পোড়াও নয়। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেও অধিকার আদায় করে নিতে পারেন।
জনমত তৈরি
আন্দোলন শুরু করার আগে হলে এবং ক্যাম্পাসে বিষয়টি নিয়ে জনমত তৈরি করুন। এতে বুঝতে পারবেন অন্যদের মনমানসিকতা এবং আন্দোলনের গুরুত্বও।
নেতিবাচক দিক
যে কোনো ইতিবাচক দিকের আড়ালে নেতিবাচক দিকও থাকে। আন্দোলনে নামার আগে এর নেতিবাচক দিকও মাথায় রাখবেন। হয়তো বলবেন, এতসব ভেবে আন্দোলন করা যায় না। তবু আন্দোলনে যাওয়ার আগে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক বিবেচনা করে পথে নামুন। u
- বিষয় :
- আন্দোলন