ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

ক্যামেরার ফ্রেমে বাঁধা এক তরুণের গল্প

ক্যামেরার ফ্রেমে বাঁধা এক তরুণের গল্প

পিছিয়ে পড়া শিশুদের উপহারসামগ্রী বিতরণ করছেন তানজিল ইসলাম মিতুল

রুবেল মিয়া নাহিদ

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ০০:২৪

মাত্র তিন বছর বয়সে সৌদি আরবপ্রবাসী বাবার পাঠানো একটি ক্যামেরার সঙ্গে প্রথম পরিচয় তানজিলের। তখন অন্যের তোলা ছবি শোভা পেত ঘরের দেয়ালে। এখন তাঁর তোলা ছবি শুধুই নিজের নয়, ছড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষের দেয়ালে, মনের গহীনে। ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মামুনের পুত্র তানজিল ইসলাম মিতুল। জন্মস্থান শরীয়তপুর হলেও শৈশব, কৈশোর ও সৃষ্টিশীলতা গড়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকায়। নগরজীবনের বৈচিত্র্য ও প্রযুক্তির ছোঁয়া তাঁর চিন্তাশক্তিকে শানিত করেছে নতুনভাবে। ড্যাফোডিল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে গ্রাফিক ডিজাইন টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা পড়ার সময় ‘ফটোগ্রাফি অ্যান্ড আর্টস’ কোর্সটি ছিল তাঁর জীবনের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। সেখান থেকে শুরু হয় প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি ও ফিল্ম মেকিং-এর যাত্রা। ২০২১ সালে কভিডের সময় ফিল্ম মেকিংয়ের প্রতি গভীর আকর্ষণ জন্মালেও তখন ছিল না উপযুক্ত ডিভাইস বা সুযোগ। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ড্যাফোডিল আয়োজিত ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়ে নিজের প্রথম শর্ট ফিল্ম ‘জড়তা’ নির্মাণ করেন তিনি, যা শতাধিক অংশগ্রহণকারীর মধ্যে বেস্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। শুধু সৃজনশীল কাজ নয়, তানজিল তাঁর প্রতিষ্ঠিত ক্লিক এন ক্রিয়েশন স্টুডিওর মাধ্যমে সমাজ ও দেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছেন। এ ব্যাপারে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ক্লিক এন ক্রিয়েশন স্টুডিও থেকে গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট-এর মতো সেবা প্রদান করছি, যাতে সমাজ এবং অর্থনীতি আরও এগিয়ে যায়। পাশাপাশি বেকার ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের আমরা নামমাত্র মূল্যে এসব বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করার চেষ্টা করছি।’ সামাজিক সংগঠক হিসেবেও সক্রিয় এই তরুণ যুক্ত আছেন ‘লাইভ সার্ভ বাংলাদেশ’, ‘আর্টিস্ট ১০১’সহ দেশি-বিদেশি বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে। u

আরও পড়ুন

×