কী পাইনি তারই হিসাব মিলাতে
হাসনাত আবদুল হাই
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩:১৪ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩:১৪
উদার বিস্মরণের বাণী গানে যতই মধুর শোনাক; বাংলাদেশে বর্তমানে যারা নাগরিক, তাদের মন হিসাব মিলিয়ে দেখতে চাইবে– কী আশা করেছিল আর কী পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে হিসাব হবে একই বিষয় নিয়ে, মানুষে মানুষে শ্রেণি-ধর্ম-পেশার পার্থক্য যতই থাক। হিসাব কষা শুরু হয়েছে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে।
যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের আবালবৃদ্ধবনিতা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে, দেশের ভেতরে ও বাইরে, তারই আলোকে অবধারিতভাবে নির্ধারিত হয়েছে তাদের ভবিষ্যতের আশা-আকাঙ্ক্ষা। এসব আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্যই প্রাণ দিয়েছে ত্রিশ লাখ শহীদ; ইজ্জত বিসর্জন দিতে হয়েছে কয়েক লাখ নারীকে। শুধু একটি পতাকা আর ভূখণ্ড লাভের জন্য এদেশের মানুষ জীবন পণ করে ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ নেয়নি। তাদের সামনে এমন জীবনের আদর্শ ছিল, যা হবে শুধু আগের চেয়ে পৃথক নয়; পৃথিবীর শোষিত, বঞ্চিত, বহুধা বিভক্ত মানুষের জন্য অনুসরণীয়। এদেশের মানুষ যে আশা-আকাঙ্ক্ষার তালিকা সামনে নিয়ে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে, সেসব স্থান পেয়েছিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে– গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। স্বাধীনতার ৫২ বছরে পেছনের বাংলাদেশের ইতিহাস পরিক্রমায় যে কেউ বলতে বাধ্য হবে, সংবিধানের এই চার মূলনীতির সন্তোষজনক বাস্তবায়ন হয়নি এখনও। বরং নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে তাদের যাত্রাপথে।
গণতন্ত্রের চর্চা বাধাগ্রস্ত হয়েছে প্রজাতন্ত্রের যাত্রার প্রথম থেকেই। একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সংশোধন করা হয়েছে সংবিধান। সেটি কার্যকর করার আগেই জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে প্রশস্ত করা হয়েছে সামরিক শাসনের পথ। দেড় দশকের ওপর পর্যন্ত চলেছে একের একের পর এক সামরিক শাসনের অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি। সামরিক শাসকরা ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার জন্য নিজেদের রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করে গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে জটিল এবং ঘোলাটে করে ফেলেছেন, যার প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া এখনও সম্ভব হয়নি। গণতন্ত্রের মুখোশে যে রাজনীতির চর্চা করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। সেই আন্দোলনের শেষে যখন রাজনীতি ফিরে এলো রাজনৈতিক দলের কাছে, সে সময় অবাধ ও মুক্ত নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের বিধান রাখা হয় সংবিধানে। কিন্তু ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য সেই সাংবিধানিক বিধানের বাস্তবায়ন বিকৃত করার জন্য যে তৎপরতা দেখানো হলো, তার ফলে ক্ষমতায় এলো আধা-সামরিক কর্তৃপক্ষ। দু’বছর পর আবার নির্বাচিত সরকার ফিরে পেল জনগণ। ক্ষমতাসীন দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রথা বাতিল করে সংবিধান আবার সংশোধন করার পর প্রধান বিরোধী দল এখন সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে তার অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে।
স্বাধীনতার ৫২ বছরেও রাজনীতির রাজপথে হাঁটা এখনও অব্যাহত বাংলাদেশে। গণতন্ত্রের এই টালমাটাল যাত্রার জন্য যে বড় ক্ষতি হয়েছে, তা হলো গণতন্ত্রের সংস্কৃতির অপরিণত (retarded) রূপায়ণ। এখানেই হয়েছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্ষতি, যে জন্য গণতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশ রুদ্ধ হয়ে আছে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির এই বিকৃতি রাজনীতিকে করেছে ক্ষমতায় যাওয়া এবং সেখানে একচেটিয়াভাবে থেকে নিজের দলের সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা লাভ নিশ্চিত করার প্রধান উপায়। বিপক্ষ দলকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা এ জন্য হয়ে গেছে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির প্রধান উদ্দেশ্য। সামরিক এবং আধা-সামরিক শাসনের পর যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, তাদের ‘গণতান্ত্রিক রাজনীতি’র এটাই হয়েছে একমাত্র কৌশল। বিপক্ষদলীয় রাজনীতির জন্য যে পরিসর (space) ছেড়ে দেওয়ার কথা, তা কোনো দলই ক্ষমতায় গিয়ে দিতে চায়নি।
যার জন্য শুধু যে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চা ব্যাহত হয়েছে, তাই নয়; মাঝেমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ফলে নিরীহ নাগরিকদের স্বস্তি এবং শান্তির সঙ্গে জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে প্রায় নিয়মিতভাবে। গত কয়েক দশক ধরে যে গণতন্ত্রের চর্চা করা হয়েছে, তাকে ‘গণতন্ত্র’ না বলে বলা যায় ‘দলতন্ত্র’। এই নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি জাতিকে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভক্ত করে ফেলেছে। এমন কোনো পেশা নেই যেখানে বিবদমান দুটি দলে সদস্যরা বিভক্ত নয়। এর একটা ক্ষতিকর দিক হলো, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকছে, তাদের কর্মী ও সমর্থকরাই সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। যারা এ পৃষ্ঠপোষকতা পায় না, তাদের মধ্যে মেধাবী ও দক্ষ থাকলেও জাতি তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর সঙ্গেই সম্পর্কিত আরেকটি বড় ক্ষতি হলো, রাষ্ট্রের প্রায় সব শাখা নিরপেক্ষতা হারিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
রাজনীতিই একটি জাতির চালিকা শক্তি। সেই শক্তির বিকৃতি কিংবা অসুস্থতা জাতিকে অসুস্থ করে দুর্বল করে দিতে পারে। বিগত কয়েক দশকে যে দলীয় রাজনীতি গণতন্ত্রের স্থানে দলতন্ত্র কায়েম করেছে, তার সঙ্গে স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতির সংগতি নেই– এ কথা বলতেই হয়। সংবিধানে ‘গণতন্ত্র’ লেখা আছে বটে, কিন্তু সরেজমিন কাজকর্মে তার দেখা পাওয়া দুষ্কর। নির্বাচন হয়েছে বটে। কিন্তু নির্বাচনই গণতন্ত্রের সব নয়। আর নির্বাচন যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে, তাহলে তো কথাই নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করতে হলে দলীয় রাজনীতিকে একচ্ছত্র ক্ষমতা লাভের উপায় হিসেবে না দেখে সব দলের অংশগ্রহণ-উপযোগী করে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যে যতদিন পর্যন্ত পৌঁছানো না যাবে, গণতন্ত্র সম্পর্কিত স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে প্রাপ্তির হিসাবে অসংগতি থেকেই যাবে।
জাতীয়তাবাদ নিয়ে বেশ কিছুদিন বিভিন্ন দলের মধ্যে ধারণাগত পার্থক্য ছিল। এটি দূর হয়েছে কিনা, বলা যাচ্ছে না। কোনো দল মনে করেছে, জাতীয়তাবাদের ভিত্তি হলো নৃতাত্ত্বিক-ভাষাভিত্তিক বৈশিষ্ট্য। কোনো দল জাতীয়তাবাদকে অন্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্য নির্ধারণের উপায় হিসেবে দেখেছে। আবার কোনো দল মনে করেছে, ধর্মই জাতীয়তাবাদের নিয়ন্তা। জাতীয়তাবাদের সঠিক সংজ্ঞা এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া হয়নি। যার ফলে নাগরিকদের মধ্যে মতবিভেদ রয়েই গেছে, যা জাতীয় ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর।
বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ যে কোনো মতাদর্শভিত্তিক (ideological) ধারণা নয়; এটি আইনগত একটি বিষয়– এই সহজ-সরল সত্য উপলব্ধির জন্য এইটুকু বলাই যথেষ্ট যে, যারাই বাংলাদেশের নাগরিক, তাদের সবার জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশি। জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিকীকরণ শুধু ভুল নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতও হতে পারে। অবশ্য জাতীয়তাবাদকে আইনি বিষয় (legal construct) মনে করার সাংবিধানিক সংশ্লেষ রয়েছে, যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যেমন আইনগতভাবে বাংলাদেশের সব নাগরিক ‘বাংলাদেশি’ হলে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ কী? যেহেতু জাতীয়তাবাদ একটি আদর্শ; যেই জন্য মূল সংবিধানের প্রসঙ্গে বলা যায় বাংলাদেশি জাতীয়তবাদ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। মূল সংবিধানে উল্লিখিত এই মূলনীতিগুলোর অন্তত দুটিতে সংশোধনী আনা হয়েছে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ আদর্শ হিসেবে এখন কী, সেই উপসংহার সংবিধানের সংশোধনের ভিত্তিতে আসতে হবে, না এর নতুন ব্যখ্যা দেওয়া হবে– সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জাতীয়তাবাদের একটা দিক হলো, একটি জাতিকে অন্য জাতির তুলনায় পৃথক করে দেখানো। এই সংজ্ঞায় নেতিবাচক ভাব আছে। জাতীয়তাবাদের অন্য দিক হলো, মতাদর্শের ভিত্তিতে একটি জাতির পরিচয় তুলে ধরা। এই সংজ্ঞাও একটি জাতিকে অন্য জাতির তুলনায় পৃথক করে দেখায়, কিন্তু ইতিবাচকভাবে। সেই কারণে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদকে যদি গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সেক্যুলারিজমের নিরিখে বলা হয়, তাহলে সেটি আইডিওলজির চরিত্র লাভ করে। এসব বিষয় ভেবে জাতীয়তাবাদের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন। জনকল্যাণের কথা মনে রেখে সমতা ও ন্যায়সংগত আয় বণ্টন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত অর্থনীতির সাহায্যে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই উদ্দেশ্যে সব শিল্প-কারখানা জাতীয়করণ করা হয় এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। ১৯৭৫-এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির লক্ষ্য পরিত্যক্ত হয়। বিশ্বব্যাংক ইত্যাদি পুঁজিবাদী অন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগে ‘ওয়াশিংটন কনসেনসাস’ নামে উন্নয়ন কৌশলের অধীনে শিল্প-কারখানা বিরাষ্ট্রীয়করণ করা এবং মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের ভূমিকা ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারণ করা হয়। এই নীতি অনুসরণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়ে মুষ্টিমেয় মানুষ ধনকুবের হলেও দরিদ্র জনগণের ভাগ্য সেই অনুপাতে উন্নতি লাভ করেনি।
এর পাশাপাশি বেড়েছে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে আয় ও সম্পদের পার্থক্য। বর্তমানে জীবনযাত্রার ব্যয় যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, তার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য যে কল্যাণমূলক কর্মসূচি (যেমন রেশনিং) ভূমিকা রাখতে পারত, তার অভাব বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কৌশলের দুর্বলতার কথা মনে করিয়ে দেয়। বাংলাদেশ কয়েকশ মানুষের আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার জন্য স্বাধীন হয়নি; কোটি কোটি সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিও ছিল। দারিদ্র্য দূর করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত এ লক্ষ্য অর্জনে খুব বড় সাফল্য অর্জিত হয়েছে– এমন বলা যাবে না।
সংবিধানের মূলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতার যে বিধান রাখা হয়েছিল, সেটি পরিবর্তন করা হয়েছে। যার ফলে রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একজন সামরিক শাসক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে এমন স্থান দিয়েছিলেন; পরবর্তী সময়ে তার সংশোধন করতে ইতস্তত করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের কথা মনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে চলেছে, যা রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থি বলা যায়। মাঝেমধ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা সংঘটিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে মনে করা কঠিন– সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প নির্মূল করে জাতীয় জীবন থেকে বিদায় দেওয়া হয়েছে।
এই লেখায় সংবিধানের চারটি মূলনীতির আলোকে স্বাধীনতার ৫২ বছরে জাতির অর্জন নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে যে ইতিবাচক কিছু নেই বা কোনো সাফল্য অর্জিত হয়নি– এ কথা বলা হচ্ছে না। প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির যে অপ্রতুলতা, তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। অবশ্য এই আলোকপাতে নতুনত্ব নেই। অনেকেই আগে বলছেন, এখনও বলবেন। সমাজের প্রতি ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা থেকেই এসব কথা বলতে হয় সচেতন সেসব নাগরিককে, যারা দলীয়করণে আত্মসমর্পণ করেননি এখনও। যেভাবে চলেছে সবকিছু, তার ফলে নিরপেক্ষ অবস্থান রক্ষা করা কঠি হয়ে পড়েছে। এই যে প্রান্তিকীকরণ (polarisation), একেও বলা যায় পাওয়া-না পাওয়ার ব্যালান্স শিটের নেতিবাচক যোগফল।
‘কী পাই নি তারি হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজি’ কথাগুলো গান হয়েই থাকবে। গানেই শুনতে সুখকর।
লেখক: কথাসাহিত্যিক