
২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তটা সেদিন সকল বাংলাদেশির হৃদয়ে যেমন আজীবনের জন্য লেখা হয়ে গিয়েছিল, তেমনি লেখা হয়ে গিয়েছিল ইতিহাসের পাতাতেও। কারণ সেই মুহূর্ত থেকেই বাংলাদেশ যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন! উনিশের যুবাদের হাত ধরেই বিশ্বজয় করল বাংলাদেশ। সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে রচিত হয়েছে ইতিহাস। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের স্নায়ুক্ষয়ী ফাইনালে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে শিরোপা নিজেদের করে নিল বাংলাদেশের আকবর আলীর দল। আজ পর্যন্ত যেকোনো পর্যায়ের ক্রীড়া আসরের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের এটাই সেরা সাফল্য- আমাদের তারুণ্যের বিশ্বজয়।
পচেফস্ট্রমের মাঠে ফাইনালে সেদিন গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ১৭৭ রানে অলআউট করে দিয়েই শিরোপার সুবাস পেতে শুরু করে বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারে পরপর কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়লেও শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশের আকবর আলীর দলই। টুর্নামেন্টে আগের ম্যাচগুলোতে সতীর্থদের দাপটে খুব বেশি ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি অধিনায়ক কিন্তু সেদিন তার কাঁধেই বর্তেছে গুরুদায়িত্ব। কঠিন সময়ে সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হননি আকবর। অত্যন্ত ধৈর্য আর সাহসের সঙ্গে ভারতীয় বোলারদের মোকাবিলা করে লোয়ার অর্ডারদের সঙ্গে নিয়ে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন দলকে। অষ্টম উইকেট জুটিতে রকিবুল হাসানের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ২৭ রানের জুটিতে ম্যাচ শেষ করেই ফিরেছেন টাইগার অধিনায়ক। দায়িত্বশীল ইনিংসের কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও তাই তার হাতেই উঠেছিল।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যেও দিনটি কেবল ঐতিহাসিকই নয়, নতুন দিনের বার্তাবাহকও বটে। কারণ যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে এবারই প্রথম বহুল আকাঙ্ক্ষিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন পূরণ করলো বাংলাদেশের অদম্য তরুণরা। চ্যাম্পিয়ন হবার অনেক ঘটনা থাকলেও এর আগে জাতীয় দল হোক বা বয়সভিত্তিক, এমনকি মেয়েদের ক্রিকেটেও কখনও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে ঘরের মাটিতে আয়োজিত বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলেছিল তারা।
২০২০ আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ছিল ৫০ ওভারের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা, যা ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। এটি ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। প্রতিযোগিতায় ১৬টি দল ৪টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলে। প্রতি গ্রুপে শীর্ষ দুটি দল প্রতিযোগিতার সুপার লিগ পর্বে এবং প্রতি গ্রুপের শেষ দুটি দল প্লেট লিগে অগ্রসর হয়। ১২তম আসরের চ্যাম্পিয়ন ছিল ভারত।
প্রথম সুপার লিগ সেমিফাইনালে যশস্বী জয়সওয়ালের অপরাজিত শত রানের বিনিময়ে ভারত পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয়। অপরদিকে দ্বিতীয় সুপার লিগের সেমিফাইনালে মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্দান্ত শতরানে ভর করে, বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে ফাইনালেন উঠে আসে। পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী প্লে অফ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে কোনো বল করা ছাড়াই পরিত্যক্ত হয়। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে বেশি পয়েন্ট অর্জন করার কারণে পাকিস্তানকে তৃতীয় ঘোষণা করা হয়।
ফাইনালে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ১৭৭ রান তোলে। তবে বাংলাদেশের ইনিংসের সময় বৃষ্টির কারণে ডিএলএস পদ্ধতি অনুসারে বিজয়ের জন্য বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪৬ ওভাবে ১৭০ রান। বাংলাদেশ ৪২ দশমিক ১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় ও ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্ট জয় করে। এটি আইসিসি ইভেন্টের যে কোনো স্তরে বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা জয়। যে জয় বাংলাদেশের তারুণ্যের অদম্য শক্তি ও সাহসের অনন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে।
পচেফস্ট্রমের মাঠে ফাইনালে সেদিন গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ১৭৭ রানে অলআউট করে দিয়েই শিরোপার সুবাস পেতে শুরু করে বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারে পরপর কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়লেও শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশের আকবর আলীর দলই। টুর্নামেন্টে আগের ম্যাচগুলোতে সতীর্থদের দাপটে খুব বেশি ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি অধিনায়ক কিন্তু সেদিন তার কাঁধেই বর্তেছে গুরুদায়িত্ব। কঠিন সময়ে সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হননি আকবর। অত্যন্ত ধৈর্য আর সাহসের সঙ্গে ভারতীয় বোলারদের মোকাবিলা করে লোয়ার অর্ডারদের সঙ্গে নিয়ে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন দলকে। অষ্টম উইকেট জুটিতে রকিবুল হাসানের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ২৭ রানের জুটিতে ম্যাচ শেষ করেই ফিরেছেন টাইগার অধিনায়ক। দায়িত্বশীল ইনিংসের কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও তাই তার হাতেই উঠেছিল।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যেও দিনটি কেবল ঐতিহাসিকই নয়, নতুন দিনের বার্তাবাহকও বটে। কারণ যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে এবারই প্রথম বহুল আকাঙ্ক্ষিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন পূরণ করলো বাংলাদেশের অদম্য তরুণরা। চ্যাম্পিয়ন হবার অনেক ঘটনা থাকলেও এর আগে জাতীয় দল হোক বা বয়সভিত্তিক, এমনকি মেয়েদের ক্রিকেটেও কখনও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে ঘরের মাটিতে আয়োজিত বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলেছিল তারা।
২০২০ আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ছিল ৫০ ওভারের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা, যা ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। এটি ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। প্রতিযোগিতায় ১৬টি দল ৪টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলে। প্রতি গ্রুপে শীর্ষ দুটি দল প্রতিযোগিতার সুপার লিগ পর্বে এবং প্রতি গ্রুপের শেষ দুটি দল প্লেট লিগে অগ্রসর হয়। ১২তম আসরের চ্যাম্পিয়ন ছিল ভারত।
প্রথম সুপার লিগ সেমিফাইনালে যশস্বী জয়সওয়ালের অপরাজিত শত রানের বিনিময়ে ভারত পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয়। অপরদিকে দ্বিতীয় সুপার লিগের সেমিফাইনালে মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্দান্ত শতরানে ভর করে, বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে ফাইনালেন উঠে আসে। পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী প্লে অফ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে কোনো বল করা ছাড়াই পরিত্যক্ত হয়। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে বেশি পয়েন্ট অর্জন করার কারণে পাকিস্তানকে তৃতীয় ঘোষণা করা হয়।
ফাইনালে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ১৭৭ রান তোলে। তবে বাংলাদেশের ইনিংসের সময় বৃষ্টির কারণে ডিএলএস পদ্ধতি অনুসারে বিজয়ের জন্য বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪৬ ওভাবে ১৭০ রান। বাংলাদেশ ৪২ দশমিক ১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় ও ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্ট জয় করে। এটি আইসিসি ইভেন্টের যে কোনো স্তরে বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা জয়। যে জয় বাংলাদেশের তারুণ্যের অদম্য শক্তি ও সাহসের অনন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন