বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে বড় আকার ধারণ করছে ক্যান্সার, হৃদরোগসহ অসংক্রামক রোগ। এগুলোতেই বর্তমানে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ‘বিজয়ের ৫১ বছরে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের অর্জন’ শীর্ষক সেন্ট্রাল সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।  রোববার সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের  এ ব্লক অডিটোরিয়ামে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল সেমিনার সাব কমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে।

এতে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ও কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো.আতিকুল হক।

উপাচার্য বলেন, এখন আর ঠিক মতো অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক এখন মানুষের কাছে স্বাভাবিক খাবারে পরিণত হয়েছে। এর বাইরেও গরু, মুরগিকে যে খাবার দেওয়া হচ্ছে সেগুলোতে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হচ্ছে। আমাদের অসংখ্য মানুষের কিডনি ড্যামেজ হচ্ছে, কারণ আমরা যখন-তখন ব্যথানাশক ওষুধ খাচ্ছি। আশঙ্কাজনক হারে কিডনি রোগী বেড়ে গেছে। হাসপাতালগুলো কিডনি ডায়ালাইসিসের রোগীতে ভরপুর।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্তের পরিমাণ বাড়ছে। ডায়াবেটিস প্রিভেনশনে আমাদের একটা গবেষণা শুরু হয়েছে। এটা সফল হলে আমাদের দেশের রোগীদের আর ডায়াবেটিসের জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হবে না। এছাড়াও স্বাস্থ্য খাতে আমরা আর কী কী অ্যাচিভমেন্ট করতে পারিনি সেগুলো নিয়ে একটা সেমিনার করা হবে। গবেষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি যতদিন দায়িত্বে থাকব, গবেষণা না করলে পদোন্নতি পাওয়া যাবে না। গবেষণা পেপার না থাকলে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হওয়া যাবে না, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর থেকে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর বা প্রফেসরও হওয়া যাবে না।