ঢাকা রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রেমিট্যান্স ব্যবস্থাপনা হতে পারে উত্তরণের পথ

রেমিট্যান্স ব্যবস্থাপনা হতে পারে উত্তরণের পথ

তাসনীম সিদ্দিকী

তাসনীম সিদ্দিকী

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০০:৫৩ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৭:০৬

নব্বইয়ের দশক থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তিনটি খাতকে। এগুলো হলো– পোশাকশিল্প, সেবা এবং স্বল্পমেয়াদি আন্তর্জাতিক অভিবাসন। এ প্রবন্ধে আমি দৃষ্টিপাত করছি বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অব্যবস্থা থেকে উত্তরণে আন্তর্জাতিক অভিবাসী এবং তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের সম্ভাব্য ভূমিকার ওপর। বাংলাদেশের নিট বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন। ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ছিল জিডিপির ৩.৩%-এর সমপরিমাণ। একই বছরে রেমিট্যান্স ছিল বৈদেশিক সাহায্যের ৪.৪ গুণ এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের ৭ গুণ বেশি। দেশের বৈদেশিক রিজার্ভের সিংহ ভাগই আসে রেমিট্যান্স থেকে। বাংলাদেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর পরিমাণ ৭ কোটি ৩০ লাখ। ২০২৩ সালে ১৩ লাখ বাংলাদেশি শ্রমবাজারে নতুন করে প্রবেশ করে। অথচ একই সালে ১৩ লাখ নারী এবং পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনের মাধ্যমে। 

বিগত দেড় দশকে নীতিনির্ধারক, উচ্চ পর্যায়ের আমলা এবং রিক্রুটিং এজেন্সিদের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার অভাব এবং দুর্নীতি অভিবাসন থেকে অভিবাসী পরিবারগুলোর অর্জনকে ক্রমান্বয়ে হ্রাস করেছে। বৈধ প্রক্রিয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে রেমিট্যান্সের ঊর্ধ্বমুখী গতি শ্লথ হয়ে এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে জোরদার করতে হলে অভিবাসন এবং রেমিট্যান্স খাতের অব্যবস্থাপনাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করার পদক্ষেপ নিতে হবে। 

১৯৭৬ সাল থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ১৬,৭৭৪,০৪৫ জন বাংলাদেশি নারী ও পুরুষ কর্মের উদ্দেশ্যে বিদেশে গেছেন। ২০০৩ সাল পর্যন্ত নারী শ্রমিকের কর্মের উদ্দেশ্যে বিদেশ যাওয়ার ওপর বিভিন্ন রকমের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত ছিল। ২০০৩ সালে সরকার নিষেদ্ধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে। ২০২৩ সালে মোট অভিবাসীর ১৩% ছিল নারী। যদিও বলা হয়ে থাকে, বাংলাদেশিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসন করছে, বস্তুতপক্ষে কিন্তু প্রতিবছরে ৯০ শতাংশের বেশি অভিবাসন ঘটে থাকে ৬-৭টি দেশে। সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সিঙ্গাপুর– এসব দেশেই গত কয়েক বছর ধরে মূল অভিবাসন ঘটছে। বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনে রয়েছে নানামুখী চ্যালেঞ্জ। উচ্চ অভিবাসন ব্যয়, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য, অস্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া, স্বল্পদক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমবাজার থেকে বের হতে না পারা ইত্যাদি। এসবের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত রেমিট্যান্সপ্রবাহের স্থিতিশীলতা। 

২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা রয়েছে রেমিট্যান্সের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি। ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বছরওয়ারি রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ঘটেছিল ১২ থেকে ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত। ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বছরে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ থেকে ১৮ শতাংশ। এমনকি কভিড-১৯ অতিমারি, ২০০৯-এর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং ২০০৭-০৮ সালের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক সংকট চলার সময়েও রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ২০২১ সালের পর থেকে রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি অথবা সামান্য প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। 

মনে হতে পারে যে অভিবাসন হয়তো কমে গেছে তাই রেমিট্যান্সও কমে গেছে। ব্যাপারটা সে রকম নয়। ২০০৪-২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এবং অভিবাসনের তুলনামূলক হিসাব থেকে দেখা যায় যে, এ বছরগুলোতে ২০২২-২০২৩ সালে অভিবাসনের প্রবৃদ্ধি ভালোই ছিল। কিন্তু রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। ধরে নেওয়া হয় যে, অভিবাসীরা বিদেশে যাবার এক বছর পর থেকে নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠাতে শুরু করেন। এক বছর বিরতি সময় যোগ করার পরেও রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি কিন্তু নিম্নমুখী। তাছাড়া রেমিট্যান্স শুধু এক বছরে কত লোক গেল তার ওপরে নির্ভর করে না। বিভিন্ন দেশে মোট অভিবাসীর স্টকের ওপরও রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে রেমিট্যান্স কমে যাওয়া বাংলাদেশের মোট অভিবাসীদের যে স্টক রয়েছে তাদের কম আয়ে চাকরিরত থাকা অথবা নিয়িমিত বেতন না পাওয়া ইত্যাদি বিষয়ও বিবেচনায় নিতে হবে। 

বিগত সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সেই সময়কার কর্তাব্যক্তিরা বৈশ্বিক বিভিন্ন কারণকে রেমিট্যান্সের শ্লথগতির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কভিড-১৯ অতিমারি, গন্তব্য দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি, বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে অভিবাসীদের প্রকৃত আয় কমে যাওয়া ইত্যাদিকে বড় করে দেখেছেন। দেশের ভেতরে সরকারের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের দিকে তারা তাকাননি। রামরুর গবেষণা থেকে দেখা যায়, ২০২১, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে অভিবাসী কর্মীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমাতে থাকে। বিশেষ করে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় যখন সরকারি দলের নেতানেত্রীদের দ্বারা বিভিন্ন ব্যাংক দখল এবং সেসব ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সে অর্থ বিদেশে পাচার করে ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে ফেলছে বলে খবর প্রকাশিত হয়, তখন অভিবাসী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা ব্যাংকের ওপরে আস্থা হারিয়ে ফেলেন। অভিবাসী কেউ কেউ দেশে ফিরে এসে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেন। কার্ব মার্কেট, ইনফরমাল মার্কেট এবং ফরমাল মার্কেটের মধ্যে বিনিময় মূল্যের ব্যাপক তফাতও অভিবাসীদের বৈধ পথে টাকা পাঠাতে নিরুৎসাহিত করে। 

দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের করনীতি ব্যবসায়িক শ্রেণিকে উৎসাহিত করেছে তাদের কাঁচামাল আমদানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং করতে। ব্যবসায়ীরা আন্ডার ইনভয়েসিং-এর কারণ হিসেবে অযৌক্তিক করনীতিকে দায়ী করে থাকেন। ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানিতে এলসি খোলেন স্বল্প টাকার। সেই স্বল্প টাকার ওপরেই ট্যাক্স দেন। কাঁচামালের প্রকৃত মূল্য তারা পরিশোধ করেন ওই দেশের হুন্ডি ব্যবস্থা থেকে টাকা নিয়ে। গত ১০ বছরে ওভার ইনভয়েসিং-এর মাধ্যমেও রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক কমিশনকৃত শ্বেতপত্রের রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, যে পরিমাণ টাকা ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করা হয়েছে তা দিয়ে ২২টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত। বিদেশ থেকে বাংলাদেশে সোনা এবং পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও ব্যবসায়ীরা হুন্ডির আশ্রয় নিয়ে থাকেন। গত সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার তিনটি বিনিময় মূল্য চালু করার বিষয়টিও রেমিট্যান্সের নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনটি বিনিময় মূল্য চালু করার ফলে দেশ থেকে যে অর্থ পাচার হয়েছে সেটির সঙ্গেও রয়েছে এর গাঁটছড়া। 

মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর উচ্চমূল্যে কর্ম ভিসা ক্রয় ও রেমিট্যান্সকে হুন্ডি প্রক্রিয়ার দিকে ধাবিত করে। আজ থেকে প্রায় দেড় দশক আগে কুয়েতের অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ড. নাসরা শাহ দেখিয়েছিলেন যে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রায় ৭০ শতাংশ কর্ম ভিসা অনানুষ্ঠানিক বাজারে বিক্রি হয়। অর্থাৎ অভিবাসনের দেশের চাকরিদাতা, রিক্রুটিং এজেন্সি এবং অন্যান্য মধ্যস্বত্বভোগী এই ভিসাগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় থেকে সংগ্রহ করে। পরবর্তী সময়ে তারা সেগুলো চড়া দামে বিক্রি করে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপালসহ সব দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কিছু না কিছু ভিসা ক্রয় করে। কিন্তু বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বা তাদের ওই দেশে অবস্থানরত মধ্যস্বত্বভোগীরা বাজার থেকে ভারত, বাংলাদেশ এবং নেপালকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য আকাশচুম্বি দাম প্রস্তাব করে বসে। এটা তো স্বাভাবিক যে, এরকম অভাবনীয় উচ্চমূল্য পেলে গন্তব্য দেশের ‘ভিসা ট্রেডাররা’ বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাছেই ভিসাগুলো বিক্রি করবে। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো এই খরচ চাপিয়ে দেয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঘাড়ে। এ কারণেই এশিয়ার সমস্ত দেশের মধ্যে অভিবাসন খরচ বাংলাদেশে সবচাইতে বেশি। বিশ্বব্যাংকের গবেষণা অনুযায়ী, একজন বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং কাতারে যেতে একজন নেপালি অভিবাসীর চেয়ে ৪-৫ গুণ টাকা বেশি খরচ করে। রেমিট্যান্সের ওপরে বিষয়টি দুইভাবে প্রভাব ফেলে। একজন অভিবাসী এত উচ্চমূল্যে বিদেশে গিয়ে দেশে যে টাকা পাঠান তা দীর্ঘদিন ধরে ব্যয় হয় অভিবাসন ঋণ শোধ করতে। অন্যদিকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো যে ভিসাগুলো ক্রয় করছে সেটি কোনো দেশেই বৈধ নয়। এ বাবদ বিদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের অনুমতি দেয় না। সম্পূর্ণ টাকাই যায় হুন্ডি চ্যানেলে। যদি আমরা ধরে নিই গত ১০ বছরে ৮০ ভাগ ভিসা কেনাবেচা হয়েছে এবং ভিসার দাম গড়ে ২০০০ ডলারের মত, তবে দেখা যায় যে গত দশ বছরে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো ভিসা ক্রয় বাবদ ১.৩ ট্রিলিয়ন টাকা হুন্ডি করেছে। সহজে বোঝার জন্য বলা যায় এই টাকা গত সরকারের হাতে নেওয়া মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম এমআরটি-৬ মেট্রোরেলের মতো ৪টি মেট্রোরেল তৈরির খরচের সমান। মালয়েশিয়ার সরকারের মতে, ২০২১ সালে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে যে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছিল সেটি প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করে। বলা বাহুল্য, রেমিট্যান্সের শ্লথগতির সঙ্গে মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেশনেরও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের বহুমুখী ভূমিকার কথা চিন্তা করে এর ঊর্ধ্বমুখী গ্রোথ ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশ কিছু কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। 

প্রথমত, বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গত সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যাংকগুলো থেকে জনগণের আস্থা তুলে নিয়েছেন তাদের দায়বদ্ধ করা। সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিচারের আওতায় আনা। তাদের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা। তাদের স্ত্রী-পুত্র ও কন্যাদের নামে যেসব লাইসেন্স রয়েছে সেগুলো বাতিল করা। যেসব উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারক এবং আমলা গত দু’বছরে ৮০০-এরও অধিক নতুন রিক্রুটিং লাইসেন্স প্রদান করেছেন তাদের দায়বদ্ধ করা। 

দ্বিতীয়ত, অভিবাসনের দেশে হয়রানির শিকার হয়ে ফিরে আসা অভিবাসীদের অভিযোগের আলোকে রিক্রুটিং এজেন্সি, দূতাবাসকর্মী এবং বিএমইটি ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা। হয়রানি প্রমাণ হলে বর্তমানে যেটুকু টাকার রসিদ রয়েছে পরিমাণ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদানের যে ব্যবস্থা তা পরিহার করে আনুষ্ঠানিক রসিদের ৫ গুণ বেশি অর্থ প্রদানের নিয়ম নির্ধারণ করা। 
তৃতীয়ত, আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় রেমিট্যান্স প্রেরণকে উৎসাহিত করতে বর্তমানের ২.৫ শতাংশ প্রণোদনাকে শুধু অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য ৫ শতাংশে উন্নীত করা। করনীতিতে পরিবর্তন এনে, ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিং-এর সুযোগকে সীমিত করা। এক্সচেঞ্জ রেট যথাসম্ভব স্থিতিশীল রাখা ইত্যাদি। সর্বোপরি, নীতিনর্ধারক, আমলা এবং রিক্রুটিং এজেন্সির ভেতরে যে অসাধু সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার সুযোগ সীমিত করা।

লেখক: অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার, রামরু

আরও পড়ুন

×