ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আবারও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধায় দুই রেলস্টেশনের কাজ বন্ধ করা হয়েছে। রোববার বিকেল থেকে বিএসএফের বাধায় পুনরায় কাজ বন্ধ রেখেছে টেন্ডার পাওয়া তমা কন্সট্রাকশন।

এর আগে শুন্যরেখার দেড়শ’ গজের ভেতর কাজ হচ্ছে এমন অজুহাতে বিএসএফের বাধার মুখে গত ৪ এপ্রিল থেকে বন্ধ ছিলো ঢাকা-চট্রগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা এলাকার ৩টি পয়েন্টের কাজ। পরে দীর্ঘ নয়মাস বন্ধ থাকার পর দুই দেশের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে জটিলতা নিরসনে আলোচনা হলে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় কসবার রেল স্টেশন, সালদা নদী ব্রিজ ও সালদা নদী স্টেশনের কাজ। কাজ শুরু হওয়ার তিনদিনের মাথায় পুনরায় কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদী রেলস্টেশন নির্মাণের কাজে বিএসএফ বাধা দিলে কাজ বন্ধ রাখেন তমা কন্সট্রাকশনের লোকজন। তবে সালদা নদী ‍ব্রিজের কাজে কোনো বাধা দেয়নি বিএসএফ।

সোমবার সকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের সিভিল ডিপার্টমেন্টের প্রকৌশলী সোহেল রানার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমকালকে বলেন, দীর্ঘ নয়মাস বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার থেকে কাজ শুরু হলেও রোববার বিকেল থেকে বিএসএফের ফের বাধায় এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আবারও তিনটি পয়েন্টের মধ্যে দুটি পয়েন্টের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু সালদা নদী ব্রিজের কাজের অনুমোদন বিএসএফ হাতে পেয়েছে। কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদী রেলস্টেশনের কাজের কাগজ হাতে না পাওয়ায় এ দু’জায়গার কাজ বন্ধে পুনরায় বাধা দিয়েছে বিএসএফ।

৬০ বিজিবির অধিনস্ত কসবা বিওপির কোম্পানি কমান্ডার হারুনুর রশিদ বলেন, বিজিবির উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রোববার সন্ধ্যায় তিনি তমা গ্রুপের স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছেন। এরপর থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি জানান, কসবা স্টেশন ও সালদা নদী স্টেশনে কাজ শুরু করার বিষয়ে সীমান্তের ওপারের বিএসএফ অধিনায়কও কোনো ভারত সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশনা পাননি।