এমপিওপ্রার্থী শিক্ষক-কর্মচারীদের হয়রানির ফাঁদে ফেলে ঘুষ আদায়ের মূল কারিগর আসলে সরকারি কর্মকর্তারা, যাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এমপিওর নাটাই। অসহায় শিক্ষক-কর্মচারীদের নাকে হয়রানির দড়ি লাগিয়ে তাঁরা ইচ্ছামতো ঘুরিয়ে-চড়িয়ে নাজেহাল করে ছাড়ছেন আর নিজেদের আড়ালে রেখে 'দালাল-ক্যাশিয়ার' নিয়োজিত করে পকেট ভরছেন। তবে সমকালের অনুসন্ধানে অনেকেরই আসল চেহারা ধরা পড়েছে।

প্রথমেই বলতে হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের কাণ্ড। জেলায় নতুন নিয়োগ পাওয়া ৪১৪ শিক্ষকের এমপিওর ফাইল প্রক্রিয়া করার নামে তিনি আড়াই কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ ঠুকে দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। গত ১১ মে দুদক শরিফুল ইসলামের অফিসে অভিযান চালিয়েছে।

অতিষ্ঠ শিক্ষকরা জানান, নারায়ণগঞ্জের ৪১৪ শিক্ষক সরাসরি বিধি অনুযায়ী এমপিও শিক্ষক (ইদানীং বেসরকারি শিক্ষকদের সরাসরি এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগ দিয়ে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করানো হয়। এরপর নিজেদের ও প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্রসহ এমপিওর জন্য আবেদন করেন তাঁরা। এঁদেরকেই বলা হয় এমপিও শিক্ষক) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে জেলার ১৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। এরপর এমপিওর জন্য আবেদন করলে প্রত্যেককে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের কাছে প্রথম দফায় ১৫ হাজার এবং পরে আরও ৫ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয়েছে। শিক্ষকদের অভিযোগ, এই টাকা না দিলে শিক্ষা কর্মকর্তা ফাইল প্রসেসিং করতেন না।

আড়াইহাজার উপজেলার একটি স্কুলে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক সালেহা আকতার গত ২ জুন সমকালকে জানান, তিনি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পিয়ন আবুল হোসেনের মাধ্যমে দুই দফায় ২০ হাজার টাকা দেওয়ার পর তাঁর ফাইল প্রসেস করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর মতো অনেককেই প্রতিদিন টাকা নিয়ে পিয়ন আবুলের কাছে বসে থাকতে হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের সঙ্গে গত ৩ জুন ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি দুদকের অভিযানের কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, দুদক কী কারণে তাঁর অফিসে অভিযান চালিয়েছে, তা তিনি জানেন না। নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির নামে ঘুষ আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি।

মাউশি খুলনা অঞ্চলের সাবেক উপপরিচালক নিভা রানী পাঠকের বিরুদ্ধেও অনিয়ম-দুর্নীতি, বদলি-বাণিজ্য, অফিস ফাইল বাণিজ্য ও হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে টাকা পাচারের অভিযোগ তদন্ত করেছে দুদক। তদন্তকালে অসহযোগিতার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। নিভা রানীর আওতাধীন খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের থেকে এমপিওর নামে তিনি প্রায় অর্ধকোটি টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে তাঁর অফিসের সেসিপ প্রকল্পের দু'জন কর্মকর্তা- হেদায়েত হোসেন ও মশিউর রহমান এবং কর্মচারী সংযুক্তিতে মনিরুজ্জামান মনিরের মাধ্যমে এসব অর্থ আদায় করতেন তিনি।

নড়াইলে বিপুল সম্পত্তি গড়েছেন নিভা রানী। ২০১৯ সালের ৯ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সরেজমিন তদন্তপূর্বক সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন মাউশিতে দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল দুদকের পক্ষ থেকে। মাউশি থেকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ মুস্তাহিদুল আলম ও একই কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ আলম ফরাজীকে।

উল্লেখ্য, এখানে অভিযুক্ত ও তদন্তকারী সবাই মাউশির অধীনে চাকরি করেন। দীর্ঘদিনেও এ প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। এরই মধ্যে নিভা রানী পাঠক অবসরে চলে যান। অবসরে যাওয়ায় এবং আগের ব্যবহূত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য পাওয়া সম্ভ্ভব হয়নি।

এমন ঘটনা আরও আছে। সম্প্রতি যশোরে কর্মরত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধেও এমপিওভুক্তিতে ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। এ ক্ষেত্রেও মাউশি তদন্তের আগে তাঁকে অন্যত্র বদলি করে দায় সারে।

উল্লেখ্য, স্কুলশিক্ষকদের এমপিও মাউশির আঞ্চলিক উপপরিচালকরা আর কলেজ শিক্ষকদের এমপিও পরিচালকরা দিয়ে থাকেন।

বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে কর্মকর্তাদের ঘুষ ও জালিয়াতির ঘটনা ভূরিভূরি পাওয়া গেছে। খোদ রাজধানীতেই জালিয়াতির মাধ্যমে আসাদুল হক নামের একজন শিক্ষকের ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার করে ঢাকার টিঅ্যান্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মহসিন হোসেনকে এমপিওভুক্ত করায় মাউশির ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক উপপরিচালক সাখায়েৎ হোসেন বিশ্বাসকে সম্প্রতি বান্দরবানে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। এই কাজে তিনি অন্তত পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেছেন বলে প্রচার আছে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, ২০১৯ সালের এত বড় ঘটনার কোনো তদন্ত করেনি মাউশি কর্তৃপক্ষ; উল্টো ধামাচাপার চেষ্টা করেছিল। করোনা মহামারির অজুহাতে কোনো ব্যবস্থা না দিয়ে ২০২০ সালের পুরোটা ও ২০২১ সালের প্রথমার্ধ পার করে দেওয়া হয়। পরে ২০২১ সালের জুনে সাখায়েৎকে বান্দরবানে বদলি করা হয়। এখন তিনি সেখানেই কর্মরত।

এমপিওভুক্তির অনিয়ম নিয়ে ২৪৪টি দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৮৪টি অভিযোগ তদন্তে মাউশিকে দায়িত্ব দিয়েছিল দুদক। এসব তদন্তের অগ্রগতি ও প্রতিবেদন পাঠাতে ৪০টি চিঠিও মাউশিকে পাঠায় দুদক; কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের বক্তব্য জানতে তাঁকে তলব করেছিল দুদক। তিনি সেদিন দুদকে হাজির হন। তবে এর ঠিক এক মাস পর চাকরি থেকে অবসর-প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে চলে যান ডিজি। ফলে দুদকের পরামর্শমতো মাউশির তদন্ত আর হয়নি।

জানতে চাইলে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সমকালকে বলেন, 'মাউশির কর্মকর্তাদের নামে অনেক অভিযোগ আসে, যেগুলো দুদকের তপশিলভুক্ত নয়। সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমরা তাদের বহু চিঠি দিয়েছি। কোনো কোনোটিতে জানতে চেয়েছি, সংশ্নিষ্ট ওই বিষয়ে তারা কী পদক্ষেপ নিয়েছে।'

অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, সিলেট অঞ্চলের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন টানা ১০ বছর একই পদে আছেন। সিলেটে যাওয়ার আগে আরও কয়েক বছর তিনি ময়মনসিংহ অঞ্চলে ছিলেন। সিলেট অঞ্চলের চার জেলার শিক্ষক-কর্মচারীদের অনেকে জানান, জাহাঙ্গীর হোসেন ঘুষের ব্যাপারে কোনো রাখঢাক করেন না। নিজ হাতেই ঘুষ নেন। তাঁর অঞ্চলে তিনি কোনো প্রোগ্রামারও রাখেননি। দুদক তাঁর সম্পদের অনুসন্ধান করছে।

মোবাইল ফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর হোসেন গত ৮ জুন সমকালকে বলেন, তিনি ঘুষ-টুস নেন না। এ বিষয়ে কেউ প্রমাণ দেখাতে পারবে না। কিছু মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে লেগেছে। তারা তাঁকে সরিয়ে এ পদে আসতে চায়।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে সাত বছর উপপরিচালকের দায়িত্ব পালন করা মো. আজিজ উদ্দিনও টাকার কুমির বলে আখ্যায়িত। বাড়ি করেছেন অস্ট্র্রেলিয়ায়। সেখানেই তাঁর স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা বসবাস করেন। অস্ট্র্রেলিয়ায় প্রায় দেড় মাসের ছুটি কাটিয়ে দু'মাস আগে তিনি ফিরেছেন। এই কর্মকর্তা বর্তমানে মাউশির প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক। সমকালের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পারিবারিকভাবেই তিনি ধনী। তাঁর বাবার বিষয়সম্পত্তি তাঁরা ভাইবোনরা ভাগ করে নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ি কেনার কথা স্বীকার না করলেও তাঁর পরিবার সেখানে বসবাস করে বলে জানান।

সাধারণত এক পদে সরকারি চাকুরেদের তিন বছর থাকার নিয়ম। এরপর বদলি করার কথা। কিন্তু অনেক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এর চেয়ে অনেক বেশি সময় একই জায়গায় বহাল থাকার নজির পাওয়া গেছে। এতে দুর্নীতি করার সুযোগ বেড়ে যায় বলে সংশ্নিষ্টদের কাছে জানা গেছে।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপপরিচালক আবু নূর মো. আনিসুল ইসলাম আছেন সাড়ে তিন বছর ধরে। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলের উপপরিচালকরা এরই মধ্যে এ পদে তিন বছর পার করেছেন। রাজশাহীর উপপরিচালক ড. শারমিন ফেরদৌস চৌধুরী দুই দফায় ১০ বছরের বেশি আছেন এই পদে। মাঝে কয়েক মাসের জন্য মাউশির প্রধান কার্যালয়ে উপপরিচালক ছিলেন। রংপুরের উপপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান চার বছরের বেশি সময় ধরে এ পদে আছেন। তিনি দাবি করেন, স্বচ্ছতার সঙ্গেই তিনি তাঁর অফিস পরিচালনার চেষ্টা করছেন। এর আগে তিনি ময়মনসিংহের উপপরিচালক ছিলেন। বরিশালে উপপরিচালকের অফিসে ১৮ বছর ধরে আছেন সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক এনামুল হক ও অফিস সহকারী হেলেনা আক্তার। উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের এখানে তিন বছর হলো; তিনি বলেন, ঘুষসহ হাতেনাতে কাউকে ধরতে পারলে তিনি কঠোর শাস্তি দেবেন।

অভিযোগ মিলেছে, সম্প্রতি এনটিআরসিএর মাধ্যমে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ে পড়ানোর জন্য নিয়োগ পান এক শিক্ষক। এরপর এমপিওর জন্য আবেদন করেন তিনি কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে। উপজেলা থেকে ফাইল জেলায় পাঠাতে তাঁকে ঘুষ দিতে হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। এরপর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে খুলনায় উপপরিচালকের কার্যালয়ে ফাইল পাঠাতে ফের নেওয়া হয়েছে ১০ হাজার টাকা। আর উপপরিচালকের কার্যালয়ে তাঁকে দিতে হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা।

কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জায়েদুর রহমানের ঘুষ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম তুলে ধরে কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা মে মাসে দুদকে লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে এমপিও, সিনিয়র স্কেল পরিবর্তন/প্রদানসহ নানা খাতে অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই কর্মকর্তা তাঁর অনুগত দুই কর্মচারী ছাড়াও কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ও দালালের মাধ্যমে এসব অর্থ নিচ্ছেন।

কুষ্টিয়া হাউজিং এস্টেট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান সমকালকে বলেন, 'জায়েদুর রহমানের বাড়ি এ জেলাতেই। তিনি তিন বছরের বেশি সময় ধরে এ জেলায় শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তিনি যোগদানের পর থেকে শিক্ষা অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এমপিও থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের অনুমোদনের সুপারিশ, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের জন্য, ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগের জন্য ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকেন তিনি। এ ছাড়া যাঁরা নতুন এমপিওর জন্য আবেদন করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে।'

সমকালের অনুসন্ধানের একপর্যায়ে এই কর্মকর্তাকে গত ১২ জুন শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। তাঁকে রাঙামাটি জেলার জুড়াছড়ি ভুবন জয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে বদলি করা হয়েছে। তিনি সেখানে যোগদানও করেছেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সমকালকে বলেন, শিক্ষা ভবন থেকে সরিয়ে দেশের ৯টি অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ায় এটাকে এমপিও বিকেন্দ্রীকরণ নয়, আমি বলব ঘুষের বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষকদের কোনো উপকার তো হয়ইনি, বরং ঘুষ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত। এটা বন্ধ হয় না, কারণ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে কর্তৃপক্ষ একটু নড়েচড়ে বসে। পরে আবার সব আগের মতোই চলে। (শেষ)