বাংলাদেশ ও ভারতের ৭ সাহিত্যিক এবং এক লিটলম্যাগকে সম্মাননা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পসাহিত্য বিষয়ক পত্রিকা 'ঐহিক'। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে চলমান কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। 

সম্মাননাপ্রাপ্ত বাংলাদেশিরা হলেন- কবি জুয়েল মাজহার এবং কবি আশরাফ আহমদ। পশ্চিমবঙ্গের সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- কথাসাহিত্যিক অভিজিৎ সেন, সৈয়দ কওসর জামাল, কবি গৌতম চৌধুরী, অমর্ত্য মুখোপাধ্যায় ও  রাহুল পুরকায়স্থ। ছোটকাগজ হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে কুবোপাখি পত্রিকাকে। কুবোপাখির সম্পাদক অতনু ভট্টাচার্য এ সম্মাননা গ্রহণ করেন। 

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উপ-দূতালয় প্রধান শেখ জামাল ও প্রথম সচিব (গণমাধ্যম) ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল।

সম্মাননা পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে কবি জুয়েল মাজহার বলেন, আমি শুধু আমার নিজের বাবুই পাখির বাসা নির্মাণ করতে চেয়েছি। নিজের মতো ভাষা ও চারিত্র্য নির্মাণ করতে চেয়েছি। জানি না কতটুকু পেরেছি।

বাংলাদেশ থেকে সম্মাননাপ্রাপ্ত আরেক কবি আশরাফ আহমদ বলেন, আলো থেকে দূরে থাকায় আমাকে দেখা যায় না। চার দশক ধরে কবিতা লিখছি, কিন্তু এটাই আমার প্রথম পুরস্কার। তাও কলকাতা থেকে৷

ঔপন্যাসিক অভিজিৎ সেন বলেন, আমার লেখা খুব বেশি লোকে পড়ে না, অস্বস্তি হয়। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা পড়েন। পাশে বসে সাহস যোগান। যারা পড়েছেন, যারা পড়েননি- সবাইকে অনুরোধ পড়ার জন্য।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও ঐহিক সম্পাদক তমাল রায় বলেন, ১৯৯০ সালে ঐহিকের যাত্রা শুরু। এবারে ত্রিশ বছরে পড়লো। এই ত্রিশ বছরে আমরা অনেক অপ্রচলিত বিষয় নিয়ে সংখ্যা প্রকাশ করেছি। সামনের দিনগুলোতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কবি কালীকৃষ্ণ গুহ, একরাম আলি, জহর সেন মজুমদার, মৃদুল দাশগুপ্ত, সুব্রত সরকার, সৌমনা দাশগুপ্ত, উমাপদ কর, চৈতালি চট্টোপাধ্যায়, সমরজিৎ সিংহ, স্বপন রায়, অতনু বন্দোপ্যাধ্যায়, তৃপ্তি সান্ত্রা, ঔপন্যাসিক অমর মিত্র, ঐহিকের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য চিত্রালী ভট্টাচার্য ও অগ্নিজিৎ, বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক নাসরীন জাহান, মশিউল আলম, ঐহিক বাংলাদেশের সম্পাদক মেঘ অদিতি, কবি আয়েশা ঝর্ণা, শিমুল সালাহউদ্দিন, ফারহানা রহমান, তিতাস চৌধুরী, ফরিদ ছিফাতুল্লাহ প্রমুখ। 

সবশেষে মোড়ক উন্মোচন করা হয় ২০২০ সালে ঐহিক প্রকাশিত সব বইয়ের। বইগুলো হলো- নভেরা হোসেনের জলে ডোবা চাঁদ, মাসুদার রহমানের চাঁদের বই, প্রবীর রায়ের জরুরি বৈঠক, মৃন্ময় চক্রবর্তীর পুতুলগুলি পোড়ামাটির, দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়ের শিরোনামে মেয়েটি ছিল, শতাব্দী দাশের অ-নান্দনিক গল্প সংকলন ও বহতা অংশুমালীর ঠুং শব্দ হলেই কবিতা।