সাভারে পূর্ববিরোধের জেরে ও নিজ বাড়ির সামনে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় বখাটেদের ছুরিকাঘাতে আহত ফটোগ্রাফারের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত কৃষ্ণ সরকার (৪০) সাভার পৌর এলাকার আড়াপাড়া সুতার নোয়াদ্দা মহল্লার ননী গোপাল সরকারের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণ সরকারের ভাই গোবিন্দ সরকার চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা দু-তিনজনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলো- কুষ্টিয়ার লালনশাহ মাজার ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন মণ্ডলপাড়ার বারেকের ছেলে নয়ন, সাভারের আড়াপাড়া এলাকার বেল্লালের ছেলে সেপাল বাশার, একই এলাকার আবদুল হালিমের ছেলে আকাশ এবং সাভারের নামাবাজার এলাকার জামালের ছেলে সোহেল ওরফে বুলেট।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে কৃষ্ণ সরকার ঢাকার মগবাজারের স্টুডিওতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছে আড়াপাড়া জমিদারবাড়ির পুকুরপাড়ে এলে তিনি কয়েকজনকে মাদক সেবন করতে দেখে। এ সময় তাদের মাদক সেবনে নিষেধ করায় এবং পূর্ববিরোধের জেরে তারা কৃষ্ণ সরকারকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাঁকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিহতের ছোট ভাই রনি সরকার জানান, সোমবার রাতে একদল কিশোর বাড়ির সামনে মাদক সেবন করছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে কিশোর গ্যাং লিডার নয়ন ছুরি বের করে তাঁর ভাইয়ের পেট ও বুকে পর পর কয়েকটি আঘাত করে পালিয়ে যায়।

সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, মামলার পর থেকেই আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।