রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হলো ভিন্নধর্মী গল্পের নাটক ‘কোথায় জলে মরাল চলে’। সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। মোহন রাকেশ রচিত ও অংশুমান ভৌমিক অনূদিত এই নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন  ড. আইরিন পারভীন লোপা।

তেইশ শ’ বছর আগের কপিলাবস্তু এবং রাজকীয় বিলাস গৌতম বুদ্ধের মনকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। মানবজীবনের দুঃখ-হতাশা তাকে আকুল করে তোলে তাকে। সংসারে ক্রমেই উদাসীন হয়ে পড়লে গৌতমের পিতা যশোধরা নামে রাজকন্যার সঙ্গে বিয়ে দেন। সংসার জীবনের দুঃখ এবং মৃত্যুর বিষয়গুলো গৌতমকে ভাবিয়ে তোলে। আর এজন্য তিনি উদ্গ্রীব হয়ে ওঠেন।

২৯ বছর বয়সে গৌতম সংসারের মায়া ও বন্ধন, রাজকীয় ঐশ্বর্য, পুত্র রাহুল ও স্ত্রী যশোধরাকে ত্যাগ করে একদিন গভীর রাতে গোপনে গৃহত্যাগ করেন। দীর্ঘ ১২ বছর সাধনার পর তিনি নির্বাণ লাভ করেন।

বহুদিন পর স্বভূমিতে ফিরে এসেছেন গৌতম বুদ্ধ। তাকে একবার দেখা ও দীক্ষা নেওয়ার জন্য আগ্রহে অপেক্ষা করছেন শতসহস্র অনুগামী। রাজপ্রাসাদে দেবী যশোধরাও অপেক্ষা করছেন। আগামীকাল তিনিও দীক্ষা নেবেন।

ওদিকে রাজকুমার নন্দর ভবনে অন্য হাওয়া বইছে। নন্দ নিজে বুদ্ধের সান্নিধ্য পেতে চাইলেও তার স্ত্রী সুন্দরীর এ ব্যাপারে কোনো আকর্ষণ নেই। এই পরিস্থিতিতে স্বামী নন্দর ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ একটুও শিথিল হতে দেবেন না তিনি। কপিলাবস্তুর অভিজাতরা সেখানে আমন্ত্রিত হয়েছেন। ভবনকে নৃত্যগীত উপযোগী মঞ্চ করে তুলতে, সুরাপানের অনুকূল পরিমণ্ডল রচনা করতে কোনো কার্পণ্য করছেন না তিনি। তবু কমল সরোবরের রাজহাঁসরা এতো চঞ্চল হয়ে উঠছে কেন, থই মিলছে না। এসব বিষয় নিয়েই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনী।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, সংগীতা চৌধুরী, ফখরুজ্জামান, শাকিল আহমেদ, খুরশীদ আলম, শিমুল সাইফুল ও শরিফুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।