সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘যখনই নির্বাচন আসে, তখনই একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা ষড়যন্ত্রের জাল বুনে। নির্বাচনে ভরাডুবি নিশ্চিত জেনেই তারা সারাদেশে আগুন সন্ত্রাসে নামে। দেশে অস্থিরতা-অরাজকতা তৈরি করে। রাতের অন্ধকারে কাপুরুষের মতো আগুন সন্ত্রাসীরা যাতে কোনো ধরনের অপকর্ম ঘটাতে না পারে- সেই দিকে সজাগ রয়েছে সরকার।

বুধবার বিকেলে বিএনপি-জামায়াতের হরতালে আগুন সন্ত্রাসে নিহত জাসদ নেতা নুরুজ্জামান পাপলু ও তার মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী মাইশা তাসনিমের যশোরের বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরের কেশবপুরে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি যশোরে আসেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে এদিন বিকেলে শহরের নিহত পাপলুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে প্রতিমন্ত্রী তিন লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হুসাইন শওকতসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করলে আটজন যাত্রী নিহত হন। এর মধ্যে ছিলেন পাপলু ও তার মেয়ে মাইশা। কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে ওই সময় তাদের সঙ্গে পাপলুর স্ত্রী মাফরুহা বেগম ও ছোট ছেলে আসিফ মো. ইমতিয়াজ জামান থাকলেও ভাগ্যক্রমে তারা দু’জন বেঁচে যান।