রাজধানীর খিলক্ষেতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ দুলালী বেগমকে হত্যার দায়ে তার স্বামী হাবিল বাদশাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার আসামির উপস্থিতিতে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক মাফরোজা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি মো. রেজাউল করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালে দুলালী বেগমের সঙ্গে রিকশাচালক হাবিল বাদশার বিয়ে হয়। এরপর থেকে ছেলে ও জামাই-মেয়েকে নিয়ে খিলক্ষেতে বসবাস করছিলেন দুলালীর মা রওশন আরা বেগম। তিনি ও দুলালী অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতেন। বিয়ের কিছুদিন পর হাবিল অটোরিকশা কেনার জন্য দুলালীর কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় প্রায়ই ঝগড়া বিবাদসহ দুলালীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন হাবিল।

২০১৭ সালের ২ আগষ্ট সকালে রওশন আরা ও তার ছেলে কাজে বেরিয়ে যান। এরপর ঝগড়ার জেরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে দুলালীকে শ্বাসরোধ হত্যা করেন হাবিল। পরে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন। এ ঘটনায় দুলালীর মা খিলক্ষেত থানায় হাবিলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।