ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

বাড়িতেই চা কফি কর্নার

বাড়িতেই চা কফি কর্নার

.

আল আমীন

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩ | ২২:১৯

কাজের ফাঁকে ফাঁকে চা কিংবা কফির কাপে চুমুক দেওয়ার জুড়ি নেই। এতে নিমেষেই চাঙ্গা হয়ে উঠে পুরো শরীর। শুধু অফিস নয়, বাসায়ও দিনের একটা সময়ে অন্তত একটু আয়েশ করে চা-কফি পান করা বেশ স্বস্তিদায়ক। কর্মক্ষেত্রে একটু জিরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা কেউ কেউ চা-কফির কাপ হাতে নিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি শুরু করি, বাসায় থাকলে হয়তো সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে কিংবা ছাদে বা ব্যালকনিতে গিয়ে বসে চা-কফি পান করি। অথবা চলে যাই সরাসরি কফিশপে বা চায়ের স্টলে। নিজের রিফ্রেশমেন্ট বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা কিংবা মেহমান আপ্যায়ন সবখানেই চা-কফির কদর রয়েছে। কিন্তু এই পানীয় পানের সময়গুলো বাসাবাড়িতেই যদি আরও নান্দনিক করে তোলা যায়, বাসাবাড়িতেই যদি হয় নিজের মনমতো সাজানো-গোছানো ছোট্ট ‘চা বা কফি-কর্নার’। এর চেয়ে ভালো বিষয় একজন চা-কফিপ্রেমীর জন্য আর কীইবা হতে পারে।
বইপ্রেমীদের থাকে পছন্দের বইয়ের কালেকশনে ভরপুর একটি লাইব্রেরি গড়ে তোলার নেশা। সিনেমাপ্রেমীদের থাকে হোম থিয়েটারের স্বপ্ন। তেমনই চা-কফিপ্রেমীদের জন্য ঘরের কোনো একটি জায়গায় চা-কফি কর্নার তৈরি করে নেওয়াটা স্বপ্ন বটে! কিন্তু নিজের বাসায়ই কফি-কর্নার! নাম দেখেই চমকে যাওয়ার কিছু নেই। চাইলে আপনিও পারেন নিজের বাসায় কফি কর্নার বানিয়ে নিতে।
যেভাবে বানাবেন 
ঘরে চা-কফি কর্নার বানাতে যে একদমই আলাদা স্পেস লাগবে এমন কিন্তু নয়। বাসায় আপনার পছন্দসই যে কোনো একটি জায়গা বেছে নিতে পারেন কফি কর্নারের জন্য। হতে পারে সেটি ব্যালকনিতেও। ড্রইং রুম কিংবা বসার ঘরের এক কর্নারেও চা-কফি কর্নার বানাতে পারেন। 
প্রথমেই পছন্দসই জায়গাটির দেয়ালে ডিজাইন করে নিন। ডিজাইনটি হতে পারে বিশেষ কোনো রং দিয়ে। সাজিয়ে নিতে পারেন চা-কফি সম্পর্কিত কোনো লেখা বা আঁকিবুঁকি দিয়ে। রাখতে পারেন বিশেষ কোনো থিমও। দেয়ালে সেঁটে দিতে পারেন পছন্দের বিভিন্ন ছবি বা আর্টওয়ার্ক। সবুজায়ন করতে বা কফি কর্নারের শ্রীবৃদ্ধি করতে রাখতে পারেন বিভিন্ন রকম ইনডোর প্লান্টও। 
কফি কর্নারে থাকতে পারে বিভিন্ন রকম চা-কফির কালেকশন। এ ছাড়া চা-কফি তৈরির সরঞ্জাম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্রও। পানের পাত্র হিসেবে রাখতে পারেন বিভিন্ন রকম কাপের কালেকশন। এগুলো সাজিয়ে রাখার জন্য দেয়ালেই তাক বা ঝোলানোর ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। 
সব সাজিয়ে নিলেন– এবার বসার ব্যবস্থাও তো রাখতে হবে, তাই না? বসার জন্য সোফা বা অন্য কিছু রাখতে পারেন। মাথায় রাখতে হবে মেহমান আপ্যায়নের বিষয়টিও। নিজে শখ করে কফি কর্নার বানিয়ে নিলেন, সেখানে যে একাই পান করবেন তা তো নয়, মেহমান এলে তাদেরও যাতে সেখানে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা যায়, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। সেই হিসাব করেই চেয়ারটেবিল সেট করে নিন। মেহমান আপ্যায়নের বিষয়টি মাথায় রেখে আরও একটি কাজ করতে পারেন। মেহমান আপ্যায়নের জন্য কিছু ওয়ানটাইমের কাপের ব্যবস্থাও রাখতে পারেন। কেননা, মেহমানের সংখ্যা একটু বেশি হলে সংগ্রহে থাকা কাপগুলোতেও সংকট তৈরি হতে পারে। 
হ্যাঁ, এক কোনায় ছোট্ট বুকশেলফও কিন্তু রাখতে পারেন। সেখানে থাকতে পারে বাছাই করা কিছু বই বা ম্যাগাজিন। সেগুলো পড়তে পড়তে বা নেড়েচেড়ে দেখতে দেখতে পানের সময়টা আরও উপভোগ্য হয়ে উঠতে পারে। কফি কর্নারে টাওয়েল বা টিস্যু রাখাও কিন্তু জরুরি। রাখতে পারেন মিউজিকের ব্যবস্থাও। রংবেরঙের লাইটিং থাকলে কিন্তু বিষয়টি আরও জমে উঠবে। বিশেষ করে রাতে, পছন্দের মিউজিক, রঙিন আলোয় বসে চা বা কফি পান করতে করতে ... ভাবতেই অন্য জগতে চলে যাচ্ছেন, তাই না? তাহলে আর দেরি কেন, চলুন সাধ্যের মধ্যে এবার নিজের শখটা মিটিয়ে ফেলা যাক। 

আরও পড়ুন