জানা-অজানার খোঁজে

মানিকগঞ্জের তেওতা জমিদারবাড়ি প্রাঙ্গণে রাজবাড়ীর সুহৃদরা
সৌমিত্র শীল চন্দন
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬:৪১ | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | ২২:৪১
আনন্দ, উচ্ছ্বাস, পরিদর্শন, নৌভ্রমণ, লটারি, ভূরিভোজ কী ছিল না রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশ রাজবাড়ীর শিক্ষা সফরে। ১৪ অক্টোবর সুহৃদদের পাশাপাশি এ আনন্দ ভ্রমণে অংশ নেন উপদেষ্টা ও বিশিষ্টজন। সকাল ১০টায় রাজবাড়ী শহরতলি পদ্মা নদীর সোনাকান্দর মৌলভীঘাট থেকে ছাড়ে নৌকা। গন্তব্য মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা জমিদারবাড়ি। প্রায় ২ ঘণ্টার নৌপথ। হারমোনিয়াম, ডুগি, তবলা নিয়ে বসে গেছেন সুমন আহমেদ, আব্দুল জব্বারসহ তাদের গায়ক দলের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে তাল দিচ্ছেন অনেকেই। কেউ নৌকার সামনে, কেউ পেছনে বসে দাঁড়িয়ে দেখছেন প্রকৃতিকে। দেড় ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছানো গেল। তেওতা জমিদারবাড়ির পথ মাত্র ২ মিনিটের। রাস্তার একপাশে তেওতা ইউনিয়ন পরিষদ, অন্য পাশে একটি পুকুর। পুকুর পাড়ে কাজী নজরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী প্রমীলা দেবীর বিশাল ম্যুরাল। কথিত আছে, এখানেই নাকি কাজী নজরুল ও প্রমীলা দেবী প্রেমে পড়েছিলেন। বিশাল জায়গাজুড়ে রয়েছে একটি মন্দির। বাড়িটিতে যে কতগুলো কক্ষ, তা গুনে শেষ করা যায় না।
কারও ক্লান্তি নেই। ঘুরেও যেন তৃপ্তি মেটে না। আহা মজা! কিন্তু পেটে তাত লেগেছে সবার। বাবুর্চি আব্দুল হামিদ ও তাঁর ছেলে আমীর হামজা দারুণ রান্না করেছেন। নৌকায় পৌঁছাতে বাজল প্রায় বিকেল ৪টা। নৌকা ছেড়েছে। এবারের গন্তব্য কাশবন। কী আনন্দ, কী উচ্ছ্বাস সবার। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। শুরু হলো লটারি। ভ্রমণের মধ্যেই দেওয়া হয়েছে সেরা সুহৃদের পুরস্কার। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সক্রিয়তা বিবেচনায় সেরা সুহৃদ নির্বাচিত হয়েছেন সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক অন্তরা ইসলাম। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, আহসান হাবীব ও সভাপতি কমলকান্তি সরকার। v
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, রাজবাড়ী