অল্প স্বল্প মজার গল্প
চৌর্যশিল্পের প্রতিযোগিতা

অলংকরণ:: তন্ময় শেখ
কাজী সুলতানুল আরেফিন
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ০০:৪৮
হাসতে হাসতে দম আটকে যাওয়ার উপক্রম হলো। যদিও হাসির কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে মনে হচ্ছে। বলে কী– এটি আমি কী শুনলাম?
‘এক চোর নাকি আরেক চোরের টাকার গল্প শুনে অজ্ঞান হয়ে গেল!’ খোলাসা করে বলেই ফেলি। আমাদের দূরসম্পর্কের এক আত্মীয় চুরিচামারি করে নাকি কোটিপতি বনে যান। এক কথায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। তিনি খুবই সেয়ানা। অনেকবার ধরা পড়তে পড়তেও বেঁচে গেছেন বিনা সাজায়। না তিনি রাতের আঁধারের চোর ছিলেন না। বরং দেশের প্রথম সারির ধনাঢ্য চোর। তারা নিজেদের শিল্পী দাবি করেন কিন্তু তাদের শিল্প সম্পর্কে অনেকেরই অজানা ছিল।
কিছুদিন পর দেখি পরিচিত আরেকজন আচমকা আঙুল ফুলে কলাগাছ নয়, একেবারে বটগাছ হয়ে গেছেন। আমাদের দেশে মোটামুটি সরিষার তেল গায়ে মাখা চোরের থেকে এই তেল না মাখা চোরের সংখ্যা বেশি। এরা পারেও বটে। কখন যে কী করে বসে কেউ বলতে পারে না। তাদের ঘিরে শত নানা গল্প তৈরি হয়। মাঝেমধ্যে এ ধনাঢ্য চোরদের নিয়ে দেশে প্রচুর প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।
এ ‘কলাগাছ’ আর ‘বটগাছ’ দু’জন কিন্তু পূর্বপরিচিত। তারা একজন আরেকজনের নিকটাত্মীয়ও বটে। এ সময় এ দু’জনের মধ্যে টাকা অপচয়ের প্রতিযোগিতা শুরু হয় চৌর্যবৃত্তির দ্বারা উপার্জিত টাকা খরচের প্রতিযোগিতা। এদিক থেকে শুরুতে দ্বিতীয়জন এগিয়ে ছিলেন। দ্বিতীয়জনের খরচ করার দৃশ্য দেখে মানুষের চক্ষু ছানাবড়া। একদিন ঘটে গেল এক আজব ঘটনা! এ দুই ধনাঢ্য চোর কোনো এক কারণে নিজেদের মধ্যে গোপনে মিটিং করছিলেন। মিটিং চলার কিছুক্ষণ পর খবর পাওয়া গেল প্রথম ধনাঢ্য চোর অজ্ঞান এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অন্যরা সবাই দ্বিতীয় ধনাঢ্য চোরের কাছে প্রথম ধনাঢ্য চোরের অজ্ঞান হওয়ার কারণ জানতে চাইল। তিনি উত্তরে বলেন, আমি তো তেমন কিছু করিনি সে আমার শিল্প সম্পর্কে জানতে চাইছে আর আমার কাছে এখন কী পরিমাণ টাকা আছে, শুধু তা বলেছিলাম মাত্র। তাতেই এ অবস্থা। তার চেয়ে আমি যে কত বড় শিল্পী, তা এখন সে বুঝতে পেরেছে।
সভাপতি সুহৃদ সমাবেশ, ফেনী
- বিষয় :
- সুহৃদ সমাবেশ