আর্থসামাজিক অবস্থার ভূমিকাই বেশি

কামাল চৌধুরী অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০৮:৩৬
কামাল চৌধুরী
অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের প্রধান কর্মক্ষম ব্যক্তিটি পরিবারের জন্য কিছু করতে না পারার ব্যর্থতা থেকে বিচ্ছিন্নতা অনুভব করতে পারেন। হয়তো তাঁকে দোষারোপ করা হচ্ছে। ক্ষোভ, হতাশা, ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ নেতিবাচকভাবে ঘটতে পারে। তিনি হয়তো এটিকে একটি সমাধান বলে মনে করেছেন। আবার তিনি যেহেতু জানেন এটি সমাজ বা আইনের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়, সেহেতু তিনি আত্মহত্যার মাধ্যমে নিজেকে শেষ করার চেষ্টা করেছেন। এখানে তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার মতো একটি অপরাধ করেছেন। এটিকে বলা যায়, ‘হোমিসাইডাল সুইসাইড’।
আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থায় নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো কীভাবে চলছে, তারা এর সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে কিনা, বেকারত্ব বাড়ছে কিনা, সৎভাবে কিছু করে চলার সুযোগ কমে যাচ্ছে কিনা– এর ফলে কেউ কেউ অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থার ভূমিকাই বেশি। এ ঘটনাগুলো যখন বাড়ছে, তখন বুঝতে হবে আমাদের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য পরিবর্তিত সমাজ বাস্তবতা নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। আর্থসামাজিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে বেঁচে থাকার তাগিদ থেকে অনেকের মধ্যে এক ধরনের বেপরোয়া ভাব তৈরি হয়েছে। নিজের ক্ষতি হোক বা অন্যের ক্ষতি হোক– এটি দেখার বিষয় নয়। হয় বাঁচব, নয়তো শেষ হয়ে যাব। এর আগে অন্যদেরও শেষ করে দেব। নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তারা বিভিন্ন অঘটনের জন্ম দিচ্ছে। এর সঙ্গে কিছু পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপরাধও হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রযুক্তিরও একটা ভূমিকা রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্নতার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি বাড়ছে নাকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তির কারণে বিচ্ছিন্নতা বাড়ছে, তা বলা মুশকিল। দুটি বিষয়ই এখানে একসঙ্গে
ক্রিয়াশীল। v