ঢাকা শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

ইএএফ প্রযুক্তিতে কার্বন নিঃসরণ ৮০ শতাংশ কম

ইএএফ প্রযুক্তিতে কার্বন নিঃসরণ ৮০ শতাংশ কম

আবদুল্লাহ আল হোসাইন চৌধুরী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইন্টার স্পেস লিমিটেড

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৩:৩৯

ইস্টার স্পেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল হোসাইন চৌধুরীর মতে, ইস্পাত কারখানা এলাকায় বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ হয় ক্ষুদ্র বস্তুকণা ছড়িয়ে যায়। কোয়ান্টাম আর্ক ফার্নেস প্রযুক্তিতে এ ক্ষতির মাত্রা খুবই কম। এতে ব্যয় বাড়লেও নতুন কারখানার কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ৮০ শতাংশ কমে যায়। প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ক্ষতিকর কণা থাকে বড়জোর ১০ মিলিগ্রাম, যা বিশ্বব্যাংকের গ্রহণযোগ্য মানদণ্ড থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ কম। এগুলোর পাশাপাশি জিপিএইচের কারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোনো ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করা হয় না। সম্প্রতি সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জিপিএইচের পানি শোধনাগার প্লান্ট শূন্য ডিসচার্জ সিস্টেমের সঙ্গে ডিজাইন করা হয়েছে, যা ব্যবহৃত পানির শতভাগ পুনর্ব্যবহার নিশ্চিত করে। এ জন্য জিপিএইচের পণ্যে আস্থা রাখছেন বিদেশিরাও। তারা পণ্য রপ্তানিও করতে পারছে। কারণ ইএএফ প্রযুক্তিকে বিশ্বসেরা মনে করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং মেটেরিয়েল-এএসটিএনও। গবেষণা করে তারাই ইস্পাতের বিশ্বমান নির্ধারণ করে। কোয়ান্টাম আর্ক ফার্নেস একটি স্পেশাল রি-ফ্যাক্টরি লাইনিং ডিজাইন ব্যবহার করে বলে এটিকে বিশ্বমানের প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচনা করে তারা।
জিপিএইচ কারখানা পরিদর্শনের আলোকে তাদের  মান নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে অত্যন্ত দক্ষ কারিগরি মানুষ এবং যন্ত্রপাতি দিয়ে কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারা। যেমন– অপটিক্যাল এমিশন স্পেক্টমিটার দিয়ে প্রডাকশনের বিভিন্ন পর্যায়ে কেমিক্যাল কম্পোজিশন চেক করা হয়, ইউটিএম ও বেন্ড রিবেন্ড মেশিন দিয়ে মেকানিক্যাল প্রপার্টি চেক করা হয়। এক্স আর এফ মেশিন দিয়ে বিভিন্ন কনজুমেবলস, অ্যালয় ও এডিটিভসের কোয়ালিটি চেক করা হয়। প্রোফাইলোমিটার দিয়ে রডের সারফেস জিওমেট্রি চেক করা হয়, যা জিপিএইচ ছাড়া দেশের অন্য কোনো স্টিল মিলে এখন পর্যন্ত নেই।

আরও পড়ুন

×