আমাদের প্রযুক্তি সর্বাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব
মোহাম্মদ আলমাস শিমুল অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিপিএইচ ইস্পাত
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৩:৪২
সমকাল: ইস্পাতের বিশ্ববাজার ধরতে কোন পদক্ষেপ নিতে হবে সবার আগে?
মোহাম্মদ আলমাস শিমুল: বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশের দূতাবাস ও কমার্শিয়াল উইংগুলোকে সক্রিয় করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে রপ্তানি খাতে নতুন পণ্য সংযোজনসহ গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করা যেতে পারে। ব্যাংক খাতে চলমান অস্থিরতা দূর করে ডলারের দাম স্থির রাখতে হবে। ইস্পাতপণ্য রপ্তানি উৎসাহিত করতে সরকার ও ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে বিভিন্ন ধরনের ঋণসুবিধা দিতে পারে। পোশাকশিল্পের মতো এ খাতকেও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত। ইস্পাতশিল্পকে শতভাগ কাঁচামাল বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু বন্দরে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই। এর সংখ্যা বাড়াতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে এনবিআরকেও। বিলেট রপ্তানিকারকদের কাঁচামাল স্ক্র্যাপ আমদানিতে একবার, ফিনিশড প্রোডাক্ট রপ্তানি করতে আরেকবার, মোট দুইবার ফ্রেইট চার্জ দিতে হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় বলেছিল, ডাবল টেক্সেশন বাদ দেবে। কিন্তু জরুরি এই কাজটুকু হয়নি এখনও।
সমকাল: প্রণোদনা বাড়ালে রপ্তানিও বাড়বে– আপনাদের এই দাবিটা কতটা যৌক্তিক?
মোহাম্মদ আলমাস শিমুল: জিপিএইচ ইস্পাত ইতোমধ্যে চীনে পাঁচবারে প্রায় দেড় লাখ টন পণ্য রপ্তানি করেছে। চীন এমন একটি দেশ, যারা সারা পৃথিবীর ৩৪ শতাংশ লোহা উৎপাদন করে। সেই দেশ আমাদের থেকে লোহা আমদানি করছে– ব্যাপারটা অনেক বড়। আমরা আশা করেছিলাম, সরকার প্রতি টনে আমাদের ১২ হাজার টাকা সাবসিডি প্রদান করবে। কিন্তু দিয়েছে মাত্র ২ শতাংশ। আমাদের জন্য যা বিশাল আর্থিক ক্ষতি। কারণ, আমাদের শতভাগ কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। এত অল্প সাবসিডি দিলে আমরা উৎপাদন খরচও উঠিয়ে নিতে পারি না। এ ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ সাবসিডি প্রয়োজন। এটি পেলে আমরা শুধু এশিয়ায় নয়, ইউরোপের দেশগুলোতেও আমাদের পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হব। কারণ আমাদের প্রযুক্তি বিশ্বসেরা। গুণগতমানের সঙ্গেও আপস করি না আমরা।
- বিষয় :
- সাক্ষাৎকার