ঢাকা রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

আগামী

স্বাস্থ্য খাতে নীরব বিপ্লব

স্বাস্থ্য খাতে নীরব বিপ্লব

ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২২ | ২২:৪০

বাষট্টি, ঊনসত্তর এবং '৭০-এর পথ ধরে উত্তাল একাত্তরে বাঙালি চিরতরে পরাধীনতার শিকল ভেঙে মুক্তির গান রচনা করে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। ৭ মার্চ একাত্তরের বিশাল জনসমুদ্র থেকে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দেন, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'। তার পথ ধরেই স্বাধীনতা।

দেখতে দেখতে হাঁটিহাঁটি পা পা করে অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে ইতোমধ্যে আমরা অতিক্রম করেছি সুদীর্ঘ ৫১টি বছর। বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নীতিসংক্রান্ত কমিটি বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ, যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। তাঁর সাহসী এবং গতিশীল উন্নয়ন কৌশল সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কাঠামোগত রূপান্তর এবং উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে।

শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। সমুদ্র বিজয় এবং মহাকাশ বিজয় তো পুরো জাতির সামনে দৃশ্যমান। কিন্তু এমন অনেক কাজ আছে, যা মানুষের চোখের আড়ালে রয়ে গেছে; যার সুযোগ-সুবিধা মানুষ পাচ্ছে। এই সুযোগ-সুবিধার কারণটা মানুষ সঠিকভাবে জানেও না। তেমনই একটা ক্ষেত্র হলো স্বাস্থ্য খাত।

মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, শিশু মৃত্যু হার হ্রাস পেয়েছে। সীমাবদ্ধ সম্পদ ও বিপুল জনগোষ্ঠী নিয়ে এ অর্জন যে প্রশংসনীয় ব্যাপার, তা জাতীয়সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবাই স্বীকার করেন। স্বাস্থ্য খাতের এই অর্জনের জন্য ৩টি জাতিসংঘ পুরস্কারসহ ১৬টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত। এর মধ্যে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
জাতীয় স্বাস্থ্য নীতির প্রণয়ন এই সরকারের এক উল্লেখযোগ্য অর্জন। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের উন্নয়ন গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করা যায়। আজ নিজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৪৫টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।

বিশাল এই জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ মোটেও সহজ কথা নয়। অনেকেই বিদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার তুলনা করেন। আমাদের দেশের জনসংখ্যা এবং আমাদের আর্থিক সক্ষমতা তাঁরা মাথায় রাখেন না। ডাক্তার-রোগী, ডাক্তার-সেবিকার আনুপাতিক হারের বিষয়টি মাথায় রাখেন না। বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য খাতে অন্যতম পদক্ষেপ হলো কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে এই কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পটি শেখ হাসিনা সরকার গ্রহণ করেন এবং প্রায় ১০ হাজার ক্লিনিক স্থাপন করেছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো জনবান্ধব মানবিক উদ্যোগকে শুধু রাজনৈতিক রোষে বন্ধ করে দিয়েছিল। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন অনলাইন জরিপ এবং বিবিএসের তথ্য অনুসারে, কমিউনিটি ক্লিনিকের ৯০ শতাংশের বেশি গ্রাহক তাঁদের পরিষেবা ও সুবিধার ক্ষেত্রে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সুযোগ-সুবিধা। স্থাপন করা হয়েছে হৃদরোগ, কিডনি, লিভার, ক্যান্সার, নিউরো, চক্ষু, বার্ন, নাক-কান-গলাসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল; অব্যাহত নার্সের চাহিদা মেটাতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে নার্সিং ইনস্টিটিউট। প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি করে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন করার কাজ চলছে।

শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম আদর্শ দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। উপজেলা হাসপাতালকে উন্নীত করা হয়েছে ৫০ শয্যায়। মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালগুলোতেও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনের উন্নয়ন স্বাস্থ্য খাতকে উন্নত করছে। সব হাসপাতালে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ই-গভর্ন্যান্স ও ই-টেন্ডারিং চালু করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালকে কেন্দ্র করে অনলাইন সেবা কার্যক্রম চালু করতে 'ভিশন সেন্টার' স্থাপন করা হয়েছে।


বিশ্ব মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মৃত্যুরোধে এখনও পর্যন্ত সফলতার পরিচয় দিয়ে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে বিনামূল্যে প্রায় ১২ কোটি মানুষের টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় দেশে করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে, যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হবে। শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হ্রাস, তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চলমান কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম বিশ্বের অনেক দেশের কাছে মডেল হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের স্বাস্থ্য খাত বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয় সফলতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম খরচে মৌলিক চিকিৎসা চাহিদা পূরণ, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল, অসংক্রামক রোগের ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে ব্যাপক উদ্যোগ, পুষ্টি উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সূচকগুলোর ব্যাপক অগ্রগতিতে স্বাস্থ্য অবকাঠামো খাতে অভূতপূর্ব অর্জন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে বহুদূর।

স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে মূলত প্রাথমিক এবং প্রতিরোধমূলক সেবা দিয়ে চিকিৎসা সেবা শুরু হয়। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত মাত্র ৬টি মেডিকেল কলেজ, একটি ডেন্টাল কলেজ ও পিজি (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) হাসপাতাল দিয়ে মধ্যম ও তৃতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা শুরু হয়। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং সবার জন্য স্বাস্থ্য চাহিদা পূরণের লক্ষ্য অর্জন হওয়া এবং জনগণের স্বাস্থ্য চাহিদার পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রমান্বয়ে দেশে প্রতিষ্ঠিত এবং সম্প্রসারিত হতে থাকে মধ্যম পর্যায়, তৃতীয় পর্যায় ও বিশেষায়িত হাসপাতালসমূহ। গত চার যুগে বাংলাদেশে সরকারিভাবে প্রায় ২০০ মধ্যম, তৃতীয় এবং বিশেষায়িত পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে। হৃদরোগ, কিডনি, যক্ষ্ণা, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগের ব্যবস্থাপনায় দেশে এখন অর্ধশতাধিক তৃতীয় পর্যায় ও বিশেষায়িত হাসপাতাল সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।

টানা তিন বারের শেখ হাসিনা সরকার রাজধানী ঢাকা থেকে তৃণমূল পর্যায়ে গ্রাম পর্যন্ত স্বাস্থ্য অবকাঠামোকে বিস্তৃত করেছে। এখন দেশের অনেক জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। অনুকূল পরিবেশে বেসরকারি পর্যায়েও গড়ে উঠেছে সাধারণ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে শুরু করে উচ্চমানের মধ্যম, তৃতীয় পর্যায় এবং বিশেষায়িত আধুনিক স্বাস্থ্য স্থাপনা। বিশ্বমানের জটিল অস্ত্রোপচারসহ প্রতিদিন অসংখ্য রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে এসব হাসপাতালে।

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মানবতার জননী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে জাতির পিতার স্বপ্টেম্নর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে, যা মোটেও সহজসাধ্য কাজ নয়, যা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সম্ভব হয়েছে।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে ১২ জানুয়ারি থেকে তাঁরই নেতৃত্বে ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে শুরু হয় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনের নবযাত্রা। তখন আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ১০০-১৫০ মার্কিন ডলার। জিডিপি ছিল শূন্যের চেয়েও কম, অর্থাৎ ঋণাত্মক। উন্নয়নের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বলতে কিছুই ছিল না। সবকিছুই ছিল ভাঙা ও বিধ্বস্ত। শূন্যের ওপর দাঁড়িয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের পথচলা। বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২৮২৪ ডলার।

বলার অপেক্ষা রাখে না, সবক'টি খাতেই সর্বনিম্ন সূচক থেকে অনেক ওপরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমাকে সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক আর তার কিছু উল্লেখযোগ্য উন্নতির চিত্র না বললেই নয়। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবার ওপর প্রভূত কাজ করেছে। সরকার সব জনগণ বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মৌলিক স্বাস্থ্য সুবিধাগুলো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও প্রজনন স্বাস্থ্যসহ পরিবার পরিকল্পনার বর্তমান অবস্থা; বিশেষ করে নারী, শিশু ও প্রবীণদের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শারীরিক, সামাজিক, মানসিক ও আত্মিক সুস্থতার ক্ষেত্রে টেকসই উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা খাত (এইচএনএসপি) সেক্টরের মূল লক্ষ্য।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি, জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টিনীতি এবং জাতীয় জনসংখ্যা নীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে বিশাল স্বাস্থ্য অবকাঠামো রয়েছে। সেখানে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তির সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে অনেক আগেই প্রত্যাশার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। সবাই মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। লেখাপড়ায় চলছে প্রযুক্তির ব্যবহার। ৬৮ হাজার গ্রামের মানুষ ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করছেন। ই-কমার্স বিপুল জনপ্রিয়। গ্রামের মানুষ নিশ্চিন্তে অনলাইনে কেনাকাটা করছেন। এখন তথ্যপ্রযুক্তিই হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত। আমাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আমাদের হতে হবে কঠোর পরিশ্রমী, অধ্যবসায়ী ও ধৈর্যশীল। অল্পতে আমরা যদি থেমে যাই, তাহলে আজকের এই বাংলাদেশ আর এগিয়ে যেতে পারবে না। আমাদের এই বাংলাদেশ একদিন গোটা বিশ্বের মাঝে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন সবার আন্তরিক সহযোগিতা। বর্তমানে বাংলাদেশ চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি লাভ করেছে এবং মৃত্যুহার কমিয়ে এনেছে। পূর্বের তুলনায় বর্তমান বাংলাদেশ চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে এসেছে। তবে এই চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে হবে। আর সে কারণে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছে।

লেখক
উপাচার্য,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

আরও পড়ুন

×